ইবোলা প্রাদুর্ভাব কঙ্গোতে ২৫ দিনে নিহত ৫০০
রূপান্তর ডেস্ক | ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ দিনে কঙ্গোতে কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে আল-জাজিরা। তবে সম্প্রতি ইবোলা প্রতিরোধে দেশটিতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর পর মৃত্যুহার কিছুটা কমেছে।
গত শুক্রবার কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়, ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ভ্যাকসিনের কারণে ২৭১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলে ইবোলার প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক। এবারই প্রথম ভ্যাকসিন প্রকল্পের কারণে ৭৬ হাজার ৪২৫ জন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলি লুঙ্গা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বড় শহরগুলোতে ইবোলার প্রাদুর্ভাব আমরা ঠেকিয়ে দিতে পেরেছি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে যাতে ইবোলো ছড়াতে না পারে, সে জন্য আমাদের বিশেষ দল নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা অধিক জনসংখ্যার চাপ।’
গত আগস্টে উগান্ডা এবং রুয়ান্ডার সীমান্তবর্তী কিভু প্রদেশ থেকে নতুন করে ইবোলার বিস্তৃতি হয়েছে। ফরাসি দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানায়, গত জানুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে ঢেউয়ের মতো মৃতের সংখ্যা বাড়ছে কঙ্গোতে। রুয়ান্ডা, উগান্ডা ও দক্ষিণ সুদানে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
কঙ্গোতে প্রথম ১৯৭৬ সালে ইবোলা ধরা পড়ে। এরপর মোট দশবার দেশটি ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে এবারই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে মানুষ মারা গেছে ইবোলায়। কয়েক বছর আগেও দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষ মারা যায় বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মধ্য আফ্রিকার ইবোলা নদীর তীরে প্রথম সংক্রমণ ঘটে বলে নদীটির নামেই ভাইরাসটির নামকরণ হয়। ইংরেজিতে রোগটির নাম দেওয়া হয়েছে ইবোলা ভাইরাস ডিজিজ বা ইভিডি। বলা হচ্ছে, বাদুড়ের খাওয়া ফল থেকে এ ভাইরাস মানুষের দেহে প্রথম প্রবেশ করে। পরে তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে শুরু করে। দেহনিঃসৃত বিভিন্ন তরল থেকে এ রোগ ছড়ায়।
রূপান্তর ডেস্ক | ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ দিনে কঙ্গোতে কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে আল-জাজিরা। তবে সম্প্রতি ইবোলা প্রতিরোধে দেশটিতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর পর মৃত্যুহার কিছুটা কমেছে।
গত শুক্রবার কঙ্গোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়, ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ভ্যাকসিনের কারণে ২৭১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলে ইবোলার প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক। এবারই প্রথম ভ্যাকসিন প্রকল্পের কারণে ৭৬ হাজার ৪২৫ জন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলি লুঙ্গা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বড় শহরগুলোতে ইবোলার প্রাদুর্ভাব আমরা ঠেকিয়ে দিতে পেরেছি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে যাতে ইবোলো ছড়াতে না পারে, সে জন্য আমাদের বিশেষ দল নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা অধিক জনসংখ্যার চাপ।’
গত আগস্টে উগান্ডা এবং রুয়ান্ডার সীমান্তবর্তী কিভু প্রদেশ থেকে নতুন করে ইবোলার বিস্তৃতি হয়েছে। ফরাসি দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানায়, গত জানুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে ঢেউয়ের মতো মৃতের সংখ্যা বাড়ছে কঙ্গোতে। রুয়ান্ডা, উগান্ডা ও দক্ষিণ সুদানে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
কঙ্গোতে প্রথম ১৯৭৬ সালে ইবোলা ধরা পড়ে। এরপর মোট দশবার দেশটি ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে এবারই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে মানুষ মারা গেছে ইবোলায়। কয়েক বছর আগেও দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষ মারা যায় বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মধ্য আফ্রিকার ইবোলা নদীর তীরে প্রথম সংক্রমণ ঘটে বলে নদীটির নামেই ভাইরাসটির নামকরণ হয়। ইংরেজিতে রোগটির নাম দেওয়া হয়েছে ইবোলা ভাইরাস ডিজিজ বা ইভিডি। বলা হচ্ছে, বাদুড়ের খাওয়া ফল থেকে এ ভাইরাস মানুষের দেহে প্রথম প্রবেশ করে। পরে তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে শুরু করে। দেহনিঃসৃত বিভিন্ন তরল থেকে এ রোগ ছড়ায়।