চাকরি প্রত্যাশীদের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে একটি ভালো সিভি। সমৃদ্ধ ও আকর্ষণীয় সিভি দেখেই চাকরিদাতা সাক্ষাৎকার পর্বে আপনাকে ডাকবেন। সিভিতে মনগড়া বা আপনি যা নন সেটা তুলে ধরলে চলবে না। সিভি তৈরি করারও কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো মেনে চলা উচিত। বেশি তথ্য তুলে ধরলেই সিভির মান বেড়ে যাবে এমন নয়। কিছু কিছু বিষয় সিভিতে তুলে না ধরাই ভালো। কেবল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সিভিতে উল্লেখ করতে হবে, কারণ চাকরিদাতাদের বড় সিভি পড়ার সময় নেই।
টাইমস জবস সিভির একটি চেক লিস্ট তৈরি করেছে কোনো প্রতিষ্ঠানে সিভি পাঠানোর আগে মিলিয়ে দেখতে পারেন-
রিজিউম বা কারিকুলাম ভিটাই বা সিভি শব্দ: যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করছেন, তখন আপনি যে রিজিউম বা কারিকুলাম ভিটাই পাঠাচ্ছেন সেটা আলাদা করে বলার প্রয়োজন হয় না। তাই আবেদনপত্রে রিজিউম বা কারিকুলাম ভিটাই শব্দ ব্যবহার করার কোনো মানে হয় না। এর পরিবর্তে সেখানে আপনার নাম বসিয়ে দিন।
অবজেকটিভ স্টেটমেন্ট: গৎবাঁধা বক্তব্য আর বাগাড়ম্বর উক্তি দিয়ে সিভি শুরু করবেন না। আপনি হয়তো মনে করতে পারেন, এতে আপনার সিভির গভীরতা বাড়ছে। কিন্তু চাকরিদাতা ভালোভাবেই জানেন সিভিটি বিজ্ঞাপনে তাদের দেয়া চাকরিকে উদ্দেশ্য করেই লেখা হয়েছে। এমন গৎবাঁধা বক্তব্য না দিয়ে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আপনি প্রতিষ্ঠানকে কী দিতে পারবেন সেটা তুলে ধরুন।
শখ: এটা সিভিকে কেবল দীর্ঘই করে। যদি চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিষয় না হয়, তবে আগ্রহ ও শখ সিভিতে উল্লেখ না করাই ভালো। বরং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার জন্য জায়গা বাঁচান এবং বুদ্ধি খাটিয়ে কাজে লাগান।
চাকরিতে বিরতি: চাকরিতে বিরতি থাকা আপনার কাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যদিও বিরতির কোনো বৈধ কারণ থাকলেও বিষয়টিকে অন্য দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার একটা প্রবণতা রয়েছে। সাক্ষাৎকার পর্বে এই বিষয়টি নিয়ে সবসময়ই আলোচনা হয়ে থাকে।
যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন: কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতাগুলো এক লাইন করে উল্লেখ করুন। প্রতিষ্ঠানের নাম, চাকরির ধরন ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কী ধরনের কাজ করেছেন তার বর্ণনা দিতে যাবেন না। সর্বশেষ পাঁচটি চাকরির অভিজ্ঞা সিভিতে উল্লেখ করা যেতে পারে। মনে রাখবেন- সংখ্যা নয়, কাজের মানই এক্ষেত্রে প্রাধান্য পারে।
প্রত্যাশিত বেতন: সিভিতে প্রত্যাশিত বেতন উল্লেখ করলে চাকরিদাতা বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো এ কারণেই আপনি সাক্ষাৎকার পর্বে ডাক নাও পেতে পারেন।
অত্যধিক যোগাযোগ তথ্য: ব্যক্তিগত তথ্য খুব বেশি উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। আপনার বৈবাহিক অবস্থা, সন্তানের সংখ্যা, ধর্ম, জন্মস্থান, পাসপোর্ট নাম্বার এগুলোর প্রতি চাকরিদাতার আগ্রহ নেই। আপনার নাম, ইমেইল এড্রেস, যোগাযোগ নাম্বার এবং ঠিকানা উল্লেখ করুন। সবচেয়ে ভালো হয় আপনার প্রফেশনাল প্রোফাইল লিঙ্কডইন প্রোফাইল লিঙ্ক এ শেয়ার করতে পারেন।
রেফারেন্স: পূর্বের কর্মস্থলের রেফারেন্স গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা তখনই যাচাই করা হয় যখন সাক্ষাৎকার পর্বে আপনার নাম থাকবে। চাকরির বিজ্ঞাপনে উল্লেখ না থাকলে ব্যবসায়িক রেফারেন্স সিভিতে উল্লেখ করার দরকার নেই।