মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

সিনিয়র বুশ মারা গেছেন

আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:০৮ এএম

মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ হারবার্ট ওয়াকার বুশ। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে তিনি হিউস্টনে নিজ বাসভবনে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াকার বুশ এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জর্জ বুশ সিনিয়র রোনাল্ড রিগ্যানের সময় দুই দফা ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার ছেলে জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সাল থেকে দুই দফায় দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

সিনিয়র বুশের মৃত্যুতে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় শোক জানিয়েছেন।

মৃত্যুর সময় তিনি পাঁচ সন্তান এবং তাদের স্ত্রী, ১৭ নাতি-নাতনি, আট প্রপৌত্র এবং দুই ভাইবোন রেখে গেছেন।

চলতি বছরের এপ্রিলে স্ত্রী বারবারা বুশ মারা যাওয়ার এক সপ্তাহ পর তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রক্তসংক্রামক রোগে ভুগছিলেন।

জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ ১৯৬৪ সালে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগে টেক্সাসের একজন তেল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ৪০ বছর বয়সেই একজন মিলিয়নিয়ার হন।

প্রেসিডেন্ট অবস্থায় বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দেন সিনিয়র বুশ। স্নায়ুযুদ্ধের শেষ দিকে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রেন্ট স্কুক্রফ্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস বেকারকে নিয়ে দেশের জন্য কাজ করেন। তার পররাষ্ট্রনীতিকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিলেন ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন।

সাদ্দামের বাহিনী প্রতিবেশী কুয়েত আক্রমণ করে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করলে দেশটির সরকার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহয়তা চায়। সিনিয়র বুশ তাতে সাড়া দিয়ে চার লাখের বেশি মার্কিন সেনা কুয়েত পাঠান। পরে তারা ইরাকি বাহিনীকে কুয়েত থেকে বিতাড়িত করে।

প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গেও নিরাপদ কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট। আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংকট সমাধানের পথও তিনিই দেখান। তার দেখানো সেই পথ ধরেই বিল ক্লিনটনের শাসনামলে ‘অসলো চুক্তি’ হয়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত