সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন ভোটারদের সকাল সকাল কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, জনগণকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। বাধা-বিঘ্ন এলে তা পেরিয়ে কেন্দ্রে যেতে হবে। শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
দেশের মানুষ অবাধ নির্বাচন চায় উল্লেখ করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, এটা সরকারের অনুকম্পার বিষয় নয়, সংবিধানই এটা নিশ্চিত করেছে।
এসময় দলীয় আনুগত্য ও ভয়ভীতির উর্ধ্বে উঠে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা- এমন প্রশ্নে কামাল বলেন, সবকিছুতে ষড়যন্ত্র দেখতে হয় না। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার মধ্যে কোনো রহস্য নেই। অনেক আগেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে তিনিসহ আর একজন এখন পর্যন্ত জীবিত রয়েছেন জানিয়ে সাবেক এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দেশে বয়স হলেও কেউ সরে দাঁড়াতে চান না।
প্রতিদিন পাইকারি হারে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে অভিযোগ করে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, তফসিল ঘোষণার পরও বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৬৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে।
ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে শেখ হাসিনা জোরালোভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু ক্ষমতায় এসে তিনি তা বাতিল করে দিলেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ বলা আছে, আরও দুই বার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যেতে পারে। সরকারে গেলে সংবিধান অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।