সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

সাদ বিরোধীদের ৬ দাবি

আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৪৪ এএম

টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের উপর হামলাকারীদের শাস্তিসহ সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে মাওলানা সাদের বিরোধীরা। রোববার দুপুরে রাজধানীর পল্টনের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি তুলে ধরেন।

লিখিত বক্তব্যে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী মাওলানা আমানুল হক বলেন, ইজতেমা ময়দানে হামলার নির্দেশদাতা ওয়াসিফুল ইসলাম ও শাহাবুদ্দিন নাসিমসহ জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, তাদের কাকরাইল মসজিদ থেকে বহিষ্কার, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা, টঙ্গী ময়দান তাবলিগের শূরা সদস্যদের কাছে হস্তান্তর, সারাদেশে তাবলিগের সাথীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পূর্বঘোষিত ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারির মধ্যেই ইজতেমার আয়োজন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাকরাইল মসজিদ তাবলিগের শূরা সদস্য মাওলানা মো. জুবায়ের, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা নূর হোসেন, মাওলানা নুরুল আমিন ও মাওলানা আমানত। তারা জানান, সোমবার প্রত্যেক জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে দাবির বিষয়টি তুলে ধরা হবে।

এ সময় সাংবাদিকরা উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন করেন। এর উত্তরে মাওলানা আমানুল হক বলেন, “ওরা (সাদপন্থি) শরিয়ত বিরোধী। আমারা ওদের সাথে যাব, না ওরা আমাদের সাথে আসবে?”

শনিবার ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে নিহত ইসমাইল মন্ডলকে নিজেদের অনুসারী বলে দাবি করেন মাওলানা আমানত। তবে ঘটনার দিনই নিহতের ছেলে জাহিদ হাসান বলেছিলেন, তার বাবা সাদপন্থি।

শনিবার ভোর থেকে ইজতেমা ময়দানের দখল নিতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,ওইদিন ফজরের নামাজের পরপরই মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইট-পাটকেল, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। দুপুরের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত