একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড পরিমাণ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অবশ্য বাদ পড়া প্রার্থীরা ইসিতে আপিল করা ছাড়াও প্রার্থিতা ফিরে পেতে আদালতেও যেতে পারবেন।
যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থীদের বাদ পড়ার বড় কারণ খেলাপি ঋণ। এছাড়া আদালতে দণ্ডিত হওয়া এবং অসম্পূর্ণ তথ্য ও তথ্যের অসংগতির কারণে অনেক বাদ পড়েছেন।
বাদ পড়া প্রার্থীরা মনোনয়ন ফিরে পেতে ইসিতে আপিল করতে পারবেন। ইসির সিদ্ধান্ত মনঃপুত না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা সোমবার থেকে আগামী বুধবার (৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ইসিতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। ইসি ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আপিলগুলোর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে।
এবার সারা দেশে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। ২ হাজার ২৭৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়। বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রার্থী।
দেখা গেছে, খেলাপি ঋণ ও আদালতে সাজার বাইরে প্রার্থীর সই না থাকা, দলীয় প্রত্যয়নপত্র ছাড়া দলের নাম ব্যবহার করা, হলফনামায় তথ্য গোপন করা, সরকারি সেবার বিলখেলাপি হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে অনেকের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
উপজেলা, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে যারা পদে থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তাদের প্রায় সবার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। অনেকে পদত্যাগ করলেও পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার চিঠি না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
বাদ পড়াদের অধিকাংশই বিএনপির প্রার্থী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে দলটির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) হিসেবে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেকের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের মিত্র জাতীয় পার্টির মহাসচিবসহ দলটির কয়েকজনের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে।