কথায় আছে, প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে না। কিন্তু আপেল খেলেই হবে না, খাওয়ার নিয়মটাও জানা লাগবে। অনেকে আপেল খোসা ছাড়িয়ে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, আপেলে উচ্চমাত্রায় পেকটিন আঁশ এবং সামান্য সুগার রয়েছে যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এবং দেহে ব্লাড সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে।
এছাড়াও এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। অনেকে হয়তো জানেন না আপেলের চেয়ে এর খোসা বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। তাই আপেলের খোসা কখনোই ছাড়িয়ে খাবেন না।
আপেলের খোসার উপকারিতা
আপেলের খোসায় আঁশ পাওয়া যায়: ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) এর মতে, আপেলে থাকা আঁশের বেশির ভাগই খোসায় পাওয়া যায়। আপেল দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। ক্ষুধার প্রবণতা কমায়। এটি লিভার সুস্থ রাখে এবং স্বাস্থ্যকর হাড় গঠনে সহায়তা করে। হজমশক্তি বাড়ায় এবং ডায়াবেটিসের জন্য ভালো।
ফুসফুস ভালো রাখে: আপেলের খোসায় থাকা কুয়ারসেটিন প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহ প্রতিরোধ করে। ফুসফুস ও হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমায়: খোসাসহ আপেল খেলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে বেশি খাওয়া থেকে বিরত রাখে। ফলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে এবং ওজন কমে।
হার্ট সুস্থ রাখে: বেশকিছু গবেষণায় দেখা গেছে, আপেলের খোসায় থাকা পলিফেনল উপাদান ব্লাড প্রেসার কমায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। এটি ধমনী নমনীয়তা ঠিক রেখে হার্ট সুস্থ রাখে।
গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনে ভরপুর: আপেলের খোসায় ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ রয়েছে। এতে পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান রয়েছে। এগুলো সুস্থ দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট, ব্রেন, স্নায়ু, ত্বক ও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আপেলের খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে আপেলে থাকা বিষাক্ত উপাদান দূর করার জন্য খাওয়ার আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। এরপর ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।