এক কৃষক ক্ষেতের বেগুনের সব গাছগুলো তুলে ফেলছেন। এরপর সেগুলো রাস্তার পাশে ফেলে দিচ্ছেন। এমন কাণ্ড দেখে সবাই তাকে পাগল ভাবা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু লোকটি স্বজ্ঞানেই এই কাজটি করেছেন। পাইকাররা তার বেগুনের দাম কেজিতে ২০ পয়সার বেশি না দিতে চাইলে ক্ষোভে এই কৃষক তার ক্ষেতের সব বেগুন গাছ নষ্ট করে ফেলেন।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের আহমেদনগর জেলার রাহাটা টেহসিল এলাকার ঘটনা এটি।
টাইম অব ইন্ডিয়া জানায়, কৃষক রাজেন্দ্র বাওয়াকে দুই লাখ টাকার বেগুন চাষ করেছিলেন। তিনি এখন পর্যন্ত বেগুন বিক্রি করে মাত্র ৬৫ হাজার টাকা তুলতে পেরেছেন। বিপুল টাকা লোকসান হওয়ায় রাজেন্দ্র হতাশ হয়ে পড়েছেন। গত রোববার তিনি তার বাগানের সব বেগুন গাছ উপড়ে রাস্তার ধারে ফেলে দেন।
রাজেন্দ্র বলেন, “দুই একর জমিতে বেগুন চাষ করেছিলাম। সার, কীটনাশক এবং উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেগুন উৎপাদন করেছি। সব বাবদ ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বেগুন বিক্রি করে মাত্র ৬৫ হাজার টাকা তুলতে পেরেছি।”
তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের নাসিক বাজার এবং গুজরাটের সুরট বাজারে বেগুনগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বাজারে কেজিতে মাত্র ২০ পয়সা করে বেগুনগুলো বিক্রি করতে পেরেছেন।
প্রতি সপ্তাহে তিনি কার্টনে করে বেগুন বাজারে নিয়ে যেতেন। গত ৩-৪ মাসে তাকে এই দরেই বেগুনগুলো বিক্রি করতে হয়েছে। হতাশ হয়ে বাগানের সব বেগুন ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গসহ দেশটির বেশ কিছু রাজ্যের কৃষকরা গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ঋণ মওকুফ, পণ্যের ন্যায্যমূল্যসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
এর আগেও নাসিক জেলার এক পেঁয়াজ চাষি কেজিতে এক রুপি করে পণ্য বিক্রি করেছেন। তিনি ৭৫০ কেজি শাক-সবজি বিক্রি করেছেন মাত্র ১ হাজার ৬৫ টাকায়।
গত নভেম্বরে তিনি প্রতিবাদস্বরুপ এই টাকাগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন।