প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাসের বিয়েতে ছিল ব্যাপক কড়াকড়ি। ছবি তোলা ছিল বারণ। অতিথিদের মোবাইল ঢেকে দেওয়া হয় স্টিকারে। অবশেষে মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের বিয়ের ছবি পোস্ট করেন নব দম্পতি। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা যায়, শনিবার যোধপুরের রাজকীয় প্রাসাদ উমেদ ভবনে প্রথমে খ্রিস্টান রীতিতে বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। পাদরির ভূমিকা পালন করেন নিকের বাবা পল কেভিন জোনাস। আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবের সামনে সেখানে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করেন দু’জন।
বিয়েতে প্রিয়াঙ্কা ও নিক দু’জনেই মার্কিন ডিজাইনার রাল্ফ লরেনের তৈরি পোশাক পরেছিলেন। এর আগে ওই সংস্থার পোশাকে রেড কার্পেটে ধরা দিয়েছেন বহু তারকা। তবে এই প্রথম কোনো তারকার বিয়েতে পোশাক তৈরি করলেন তিনি।
সাদা রঙের লেস বসানো, ফুলহাতা গাউন পরেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তার পিছনে শিফনের সাদা ভেইল বসানো ছিল। এটা এতটাই লম্বা ছিল যে সামলাতে হাত লাগাতে হয় কয়েকজনকে।
এর আগে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য প্রিয়াঙ্কা একাই উমেদ ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন। সিঁড়ি দিয়ে কয়েক ধাপ নেমে এলে তার হাত ধরেন মা মধু চোপড়া। তার পর সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে বিবাহস্থলের দিকে এগিয়ে যান তারা।
প্রিয়াঙ্কার বাবা অশোক চোপড়া প্রয়াত হয়েছেন। তাই মা মধু চোপড়াই মেয়েকে নিকের হাতে তুলে দেন। খ্রিস্টান বিয়েতে মেয়ের মতো তিনিও পশ্চিমী পোশাকই বেছে নেন।
ইনস্টাগ্রামে বিয়ের ছবি পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘‘আমাদের চিরদিনের যাত্রা শুরু হলো।’’ অন্যদিকে নিক লেখেন, ‘‘আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত।’’
প্রিয়াঙ্কার বিয়ে উপলক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকেই সেজে উঠতে শুরু করেছিল উমেদ ভবন। খ্রিস্টান রীতিতে বিয়ের দিনও বিশেষভাবে সাজানো হয়েছিল গোটা প্রাসাদ। সাদা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল বিবাহস্থল। অতিথিদের বসার চেয়ারেও সাদা ফুল বাঁধা ছিল।
রোববার একই ভবনেই হিন্দু মতে বিয়ের আয়োজন হয়। ডিজাইনার সব্যসাচীর তৈরি লাল লেহেঙ্গা-চোলিতে মণ্ডপে আসেন প্রিয়াঙ্কা। নিকের পরনে ছিল সোনালী রঙের শেরওয়ানি।
প্রিয়াঙ্কার চাচাতো বোন, অভিনেত্রী পরিণীতি ও মান্নারা চোপড়াও হাজির ছিলেন বিয়েতে। ছিলেন নিকের পরিবারের সব সদস্য। সকলের সামনে ঠোটে ঠোট রেখে পোজও দেন দু’জনে।
