সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ঢাকায় কেন এত অভিযোগ : সিইসি

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৩ এএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের শত শত অভিযোগ ঢাকা আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বলেছেন, এগুলো স্থানীয় পর্যায়েই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।

বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির (নির্বাচনী তদন্ত কমিটি) সদস্যদের এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কমিটির সদস্য যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সহকারী জজ পর্যায়ের ২৪৪ কর্মকর্তা এতে অংশ নেন।

তদন্ত কমিটির কার্যক্রমে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি উল্লেখ করে তাদের ‘প্রো-অ্যাকটিভ’ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন সিইসি। বলেন, ‘আপনাদেরকে জানাতে হবে যে, তাদের (প্রার্থী) সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য আপনারা আছেন। ৩০০ আসনের মধ্যে ১২২টি জায়গায় আপনারা তাদের কাছাকাছি আছেন। ২৫ নভেম্বর যখন এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তখন আমরা আশা করেছিলাম, কমিটি  অন্তত ১২২টি অভিযোগ তদন্ত করবে।  না হলে ১০০টা, নয়তো অন্তত ২২টি তদন্ত করার প্রত্যাশা ছিল। তা হয়নি। আজকে এখান থেকে আপনাদের করণীয়, দায়িত্ব জেনে ফিরে গিয়ে তদন্ত করবেন। মানুষের অভিযোগগুলো শুনবেন, আমলে নেবেন এবং তাদের রিলিফ দেবেন।’

তদন্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নূরুল হুদা বলেন, ‘আপনাদেরকে ভিজিবল (দৃশ্যমান) হতে হবে। আপনাদের কাজের উপর যখন মানুষ আস্থা রাখবে, চিনবে, তখন থেকে আপনাদের উপর দায়িত্ব আসবে। তখন আর ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে শত শত অভিযোগ আসবে না। আপনাদের এ কাজে সংযুক্ত করার উদ্দেশ্য ছিল, প্রত্যেকটা মানুষ সহজেই যেন আপনাদের সাহায্য পান, সে ব্যবস্থা করা।’

তিনি বলেন, ‘যিনি আপনাদের কথা শুনবেন না, প্যানেল কোডের ১৯৩ ধারামতে তার ৭ বছরের জেল হবে। যদি মিথ্যা তথ্য দেয় এবং আপনাদের আদেশ না মানে তাহলে প্যানেল কোডের ২২৮ ধারা অনুসারে বিচার হবে। কোড অব সিভিল প্রসিডিউর, ১৯০৮-এর সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে আপনারা মাঠে অবস্থান করবেন।’

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত