বাল্যবিবাহের কারণে বিশ্বের অনেক দেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও আয় হারাচ্ছে বলে বিশ্ব ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি। বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে, আনুষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার আগেই মেয়েদের বাল্যবিবাহের কারণে ১২টি দেশ কমবেশি ৬৩ বিলিয়ন ডলার আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
‘এডুকেটিং গার্লস অ্যান্ড এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করায় প্রতি বছর ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ের প্রবণতা ৫ শতাংশ হারে কমছে। ১৫ বছর বয়সের আগে মেয়েদের বিয়ের হার পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে সর্বাধিক। বিশ্বের মোট ২০টি দেশে বাল্যবিবাহের হার সর্বোচ্চ এবং এদের মধ্যে ১৮টি দেশই আফ্রিকার।
২০২৩ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধে আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের প্রচারের অংশ হিসেবে ২৪টি দেশ বাল্যবিবাহ বন্ধে নিজস্ব জাতীয় কৌশলপত্র চালু করেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৌশলপত্র গ্রহণ ছাড়াও কন্যাশিশুদের স্কুলগামী করতে বিনামূল্যে খাবার, স্যানিটারি উপকরণ এবং পরিবহন সুবিধা দিতে হবে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ জানায়, পশ্চিম আফগানিস্তানে খরার কারণে আড়াই লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মানবিক বিপর্যয়ে ঘরহারা কিছু পরিবার তাদের কন্যাদের বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ বা খাবার কিনছেন। ইউনিসেফের মতে, চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে মাত্র এক মাস বয়সী থেকে ১৬ বছর বয়সী ১৬১ জন শিশুকে বিক্রি করা হয়েছে।
বাল্যবিবাহ শুধু উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা নয়। গত বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ১৪ বছর বয়সের নিচে বিয়ে সংক্রান্ত আইন সংশোধন করে। বর্তমানে নিউইয়র্কে বিয়ের জন্য নূন্যতম বয়স ১৮ করা হয়েছে এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোকেও এই পথ অনুসরণ করতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় ৪৪ বছর বয়সী এক পুরুষের সঙ্গে ১৫ বছরের এক মেয়ের বিয়ে হয়।