মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

জাতিসংঘে হামাসের বিরুদ্ধে বিল এনে হারল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:০৭ এএম

ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোয় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে আনা একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়নি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের আনা বিলটি দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়।

চীনা সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন এবং তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদলু জানায়, ১৯৩ সদস্যের পরিষদে বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ৮৭টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫৭। বাকি ৩৩টি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল।

বিলটি ভোটাভুটির জন্য উত্থাপনের আগে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি বলেন, “এই পদক্ষেপ একটি ঐতিহাসিক ভুলকে সংশোধন করবে, সাধারণ পরিষদকে সত্যের পক্ষে রাখবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি অর্জনের প্রচেষ্টায় ভারসাম্য আনবে।”

জাতিসংঘ গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম হামাসকে নিন্দা জানিয়ে কোনো বিল উত্থাপন করা হয়েছে। চলতি বছরের শেষেই নিকি তার পদ থেকে ইস্তফা দিতে যাচ্ছেন। সে হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন ও ইসরায়েলের জন্য জাতিসংঘে তার শেষ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো।

হামাস ভোটাভুটির ফলাফলের প্রশংসা করে বলেছে, এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য ‘চপেটাঘাত’। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রচেষ্টায় ইসরায়েলের পক্ষ নেন ট্রাম্প।

হামাস মুখপাত্র সামি আবু জাহরি টুইটারে লিখেন, “জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়া তাদের প্রশাসনের জন্য চপেটাঘাত আর (ফিলিস্তিনিদের) প্রতিরোধ আন্দোলনের বৈধতার স্বীকৃতি।”

ভোটাভুটির পর দুঃখ প্রকাশ করে জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত ড্যানি ড্যানন বলেন, ভোটের প্রক্রিয়াগত কারণে হামাসকে নিন্দা জানানোর সিদ্ধান্ত ‘ছিনতাই’ হয়েছে। তবে হামাসকে নিন্দা জানানোর বিষয়ে ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় ধরনের সমর্থনের’ উচ্ছ্বসতি প্রশংসা করেন তিনি।

এদিকে জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনের ভিত্তিতে ‘মধ্যপ্রাচ্যে বিলম্ব ছাড়াই সমন্বিত, ন্যায়ভিত্তিক এবং টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার’ আহ্বান জানিয়ে আয়ারল্যান্ডের আনা একটি বিল সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে পাস হয়েছে।

এই বিলটির পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৫৬টি সদস্য দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ছয়টি দেশ। ভোট দানে বিরত ছিল ১২টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয়া দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, অস্ট্রেলিয়া, লাইবেরিয়া, মার্শাল আইল্যান্ড ও নাউরু।

এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে তেলআবিব থেকে তাদের দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় ফিলিস্তিনের। মুসলিমদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদের শহর জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী মনে করে ফিলিস্তিনিরা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত