এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক। ধানের শীষ প্রতীকে এবার ভোটের মাঠে আছেন দলটির চার নেতাও। এ সমীকরণ মিলছে না চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়। সেখানে এলডিপির নেতাকর্মীরা প্রচার চালাচ্ছেন নৌকার পক্ষে।
সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা আ ন ম শামশুল ইসলাম। ১৯৯১ সাল থেকে এখানে প্রতিবারই ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা অলি আহমদ, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জামায়াত। জোটের সমীকরণেও তাই কাটেনি পুরোনো দ্বন্দ্বের রেশ।
লোহাগাড়া উপজেলা এলডিপির সভাপতি জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বিগত প্রতিটি নির্বাচনে জামায়াত-শিবির এলডিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ছিল। তাই নাগরিক কমিটির ব্যানারে দলের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে কাজ করছেন। এ সিদ্ধান্ত এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা অলি আহমদকে জানিয়েছি।’ এ ব্যাপারে ধানের শীষের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির জাফর সাদেক বলেন, ‘বিষয়টি অলি আহমদকে জানানো হয়েছে। তিনি নেতাদের ধানের শীষের পক্ষে প্রচারের জন্য বললেও তারা তা মানছে না।’
এ আসনভুক্ত অপর উপজেলা সাতকানিয়ায়ও এলডিপি ধানের শীষের বিরুদ্ধে থাকলেও সরাসরি কিছু বলছে না। দলের উপজেলা সভাপতি মাহমুদুল হক জানান, অলি আহমদ চন্দনাইশে (চট্টগ্রাম-১৪) নির্বাচন করায় তারা সেখানে ব্যস্ত। ধানের শীষ বা নৌকা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন না।
এবার চট্টগ্রাম-১৫ আসনে প্রার্থী না দিলেও এখানে এলডিপির ভোটব্যাংক রয়েছে। আসনটিতে দলটির ভোট ৬৮ হাজার বলে দাবি লোহাগাড়া উপজেলা সভাপতির। এখানে নৌকা নিয়ে লড়ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে জামায়াতের শাহজাহান চৌধুরী এবং ২০০৮ সালে শামশুল ইসলাম এ আসন থেকে সংসদে যান। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয় পান অলি আহমদ।