বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

নতুন ঠিকানায় সিলেটের কারাবন্দিরা

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৩:৪৫ এএম

পুরনো কারাগার থেকে নবনির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি স্থানান্তর গতকাল শুক্রবার সকালে শুরু হয়েছে। নগরীর ধোপাদীঘির পাড়ের পুরনো কারাগার থেকে ২ হাজার ৪শ’ বন্দিকে নেওয়া হচ্ছে শহরতলির বাদাঘাটের নতুন কারাগারে। এজন্য নগরীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।  বন্দিবহনকারী ভ্যানের চলার পথে মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কড়া পাহারায় প্রিজনভ্যানগুলো গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ শনিবারের মধ্যে বন্দি স্থানান্তর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্র্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে গতকাল সকালে পুরনো কারা ফটকে গিয়ে দেখা যায়, বন্দি স্থানান্তরের জন্য দুটি প্রিজনভ্যান সারি করে রাখা হয়েছে। সকাল ৭টার দিকে প্রথমে নারী বন্দিদের স্থানান্তর শুরু হয়। প্রিজনভ্যানে তুলে নারী বন্দিদের কড়া নিরাপত্তায় নতুন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দিনভর চলে বন্দি স্থানান্তর কাজ। প্রিজনভ্যানগুলো যখন যাচ্ছিল, তখন উৎসুক অনেকে রাস্তার পাশে থমকে দাঁড়িয়ে একনজর তাদের দেখেন। বন্দিরাও প্রিজনভ্যানের ভেতরে থেকে তাদের উদ্দেশে হাত নাড়েন।

সিলেটের জেলসুপার আবদুল জলিল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বন্দি স্থানান্তরের জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্দিদের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের সাক্ষাৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী রবিবার নতুন কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎকার কার্যক্রম আবারও শুরু হবে।’ নতুন কারাগারের পাশাপাশি পুরনোটির কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা জানান, কঠোর নিরাপত্তায় বন্দিদের নতুন কারাগারে নেওয়া হচ্ছে।

নগরীর ধোপাদীঘির পাড়ের পুরনো কারাগারটি ব্রিটিশ আমলে ১৭৮৯ সালে নির্মিত হয়েছিল। দুইশ’ বছরেরও বেশি বয়সী এই কারাগারের টিনশেডের ঘরগুলো জীর্ণ হয়ে পড়েছে। এখানে বন্দি ধারণক্ষমতা ছিল ১ হাজার ২১০ জন।  তবে সবসময়েই ধারণক্ষমতার বেশি বন্দি থাকতেন। এ অবস্থায় ২০১০ সালে শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার বাদাঘাটে চেঙ্গেরখাল নদীর তীরে নতুন কারাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কারাগারের নির্মাণকাজ শেষে গত বছরের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এই কারাগারে পুরুষ বন্দিদের জন্য নির্মিত হয়েছে ছয়তলা চারটি ভবন ও নারী বন্দিদের জন্য চারতলা তিনটি ও দোতলা দুটি ভবন। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১৩০টি ফ্ল্যাট, কারা হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, ক্যান্টিন, ওয়াচ টাওয়ারসহ প্রয়োজনীয় সব স্থাপনাও নির্মিত হয়েছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত