নাটোর জেলা যুবলীগ নেতা জামিল হোসেন মিলনকে ‘তুলে নেওয়ার’ প্রতিবাদ ও সন্ধানের দাবিতে গতকাল শনিবার শহরে হরতাল, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন তার অনুসারী নেতাকর্মীরা। এতে সকালে বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজধানী ও উত্তরবঙ্গমুখী বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে নাটোরে। দুপুরের পর চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। বিকেলে প্রেস ক্লাবের সামনের মানববন্ধনে মিলনের সন্ধান দাবি করেছেন নেতাকর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে নাটোর শহরের তালতলা হাফরাস্তা এলাকা থেকে প্রশাসনের পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা মিলনকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান।
এরপর মিলনের বাবা এমদাদুল হক নিয়াজি থানা ও র্যাবের অফিসে যোগাযোগ করেও ছেলের কোনো খোঁজ পাননি। পরে তিনি রাতে ও সকালে থানায় গিয়েও জিডি করতে পারেননি। মিলন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি জেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার দুই দিন পার হলেও মিলনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল ভোর থেকে নাটোরে সব ধরনের বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেন
মিলনের অনুসারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। লালপুর ও বাঘা উপজেলার বিকল্প পথ ঘুরে ঘুরে ঢাকা-রাজশাহীর যাত্রীবাহী কোচগুলো চলাচল করে। পরে দুপুর থেকে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। বিকেলে শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় প্রেস ক্লাবের সামনে মিলনের সন্ধান দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ও সৈয়দ মুর্তজা আলী বাবলুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘মিলনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগই থাকুক আর যে বাহিনীই তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাক না কেন, এখন তাকে আদালতের সামনে উপস্থিত করা উচিত, ন্যায়বিচার পাওয়ার সবারই অধিকার আছে।’ নাটোর সদর থানার (ওসি) তদন্ত ফরিদুল ইসলাম জানান, মিলনকে কে বা কারা তুলে নিয়ে গেছে তা পুলিশ জানে না। তবে খবর পাওয়ার পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মিলনের বিরুদ্ধে মাদক ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে।