জিনগত কারণ, ভিটামিনের ঘাটতি, দূষণ, অযতœ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যায়। তবে চুল পড়া রোধে এখন আর চিন্তার তেমন কোনো কারণ নেই। কারণ এর আধুনিক ও অন্যতম চিকিৎসা এখন আমাদের দেশেই রয়েছে।
পিআরপি থেরাপি কী?
সেটা হলো পিআরপি। যার পুরো অর্থ প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা। পিআরপি থেরাপি হচ্ছে মাথার চামড়ায় বিশেষ প্রোটিন সরবরাহের একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতি প্রয়োগে আপনার শরীর থেকেই রক্ত নিয়ে তা থেকে প্লাটিলেট (অনুচক্রিকা) ও প্লাজমাকে (রক্তের বর্ণহীন সাদা অংশ) আলাদা করা হয়। তারপর এই প্লাজমা সমৃদ্ধ রক্তের অংশ সিরিঞ্জ দিয়ে চুলের গোড়ায় প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়।
এতে থাকে প্রচুর প্রোটিন, যা প্রাকৃতিকভাবে আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ প্রোটিন সমৃদ্ধ প্লাজমা দিয়েও চুলের টাক পড়া প্রতিরোধ করা যায়। যখন ওষুধ দিয়ে ফলাফল হয় না, তখন একে সহযোগী হিসেবে দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
কখন নেবেন
সাধারণত যিনি পিআরপি চিকিৎসা নেন, তিনি ছয় মাসের মধ্যে বুঝতে পারেন ফলাফল ভালো। এতে চুল পড়া রোধ করা সম্ভব। যেমন-যার ২২ বছরে চুল পড়তে শুরু করছে সে ২৮ বছরে এসে চিকিৎসা শুরু করার চেয়ে ২২ বছর বয়সেই পিআরপি চিকিৎসা শুরু করা উচিত। চুল পড়ে যাওয়ার শুরুতে চিকিৎসা নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। পিআরপি চিকিৎসা কতখানি উপকারী তা নির্ভর করবে আপনার মাথার চামড়ার ভেতরে চুল উৎপাদনকারী কোষ কতটুকু আছে বা আদৌ আছে কি না তার উপর। ভেতরে জীবিত কোষ না থাকলে আপনি এর ফলাফল পাবেন না। চুল উৎপাদনকারী কোষ যথেষ্ট পরিমাণে জীবিত থাকলে আপনি চার সপ্তাহ থেকেই ফল পাওয়া শুরু করবেন।
সুবিধা
আপনার নিজের শরীরের রক্ত ব্যবহৃত হয় বলে পিআরপি চিকিৎসায় তেমন কোনো সাইড ইফেক্ট হয় না। নেই কোনো ঝুঁকি। তা ছাড়া এর ফলাফল খুবই ভালো। সব কিছু ঠিক থাকলে বলা যেতে পারে প্রায় শতভাগ সফল। এই থেরাপি নারী পুরুষ সবার জন্যই উপযোগী। তাছাড়া এতে খরচও অনেক কম হয় বলে সবাই এই থেরাপি নিতে পারেন। তবে যদি কারও শারীরিক অসুস্থতা ও হরমোনের অসামঞ্জস্য থাকলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল
সহকারী অধ্যাপক (চর্ম ও যৌন)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কামাল স্কিন সেন্টার
গ্রিন রোড, ঢাকা
০১৭১১৪৪০৫৫৮
সম্পাদনা: আমিনুর রহমান জুমন