তীব্র শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ও খাদ্য সংকটের কারণে সুদূর সাইবেরিয়াসহ নানা শীতপ্রধান দেশ থেকে হাজারো মাইল পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। দেশের অন্য অনেক অঞ্চলের মতো নরসিংদী উপজেলার রায়পুরা উপজেলাও এদের বিচরণস্থল। এই উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিলবেষ্টিত চরাঞ্চলের বিভিন্ন জলাশয়ে এদের অবস্থান পরিলক্ষিত হয়। তখন বিল-ঝিলে রংবেরঙের পাখিগুলোর অবাধ বিচরণ ও কিচিরমিচির শব্দে গোটা চরাঞ্চলের বিল এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। প্রাকৃতিক এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমী মানুষকে আরও উৎফুল্ল করে তোলে।
একটি তথ্যে জানা যায়, আশির দশকে এ দেশে আসা পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০ প্রজাতির। কিন্তু বর্তমানে এর সংখ্যা নেমে এসেছে ৭০-৮০ প্রজাতিতে। আর তা পাখি শিকারিদের পরিযায়ী পাখি নিধনে। রায়পুরারও এক শ্রেণির অসাধু প্রকৃতির শিকারি জাল, ফাঁদ, বড়শি ও বিষটোপ দিয়ে এসব পরিযায়ী পাখি নির্বিচারে নিধন করছে। ফলে একদিকে যেমন এখানে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তেমনি অপরদিকে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি পাখিনিধন রোধকল্পে গড়ে তুলতে হবে পাখিদের অভয়ারণ্য।
এরশাদুর রহমান চন্দন, রায়পুরা, নরসিংদী