মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সোহাগ

আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:১০ পিএম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের ফরহাদ হোসেন সোহাগ। লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পেছনে না ছুটে নেমে পড়েন কৃষিকাজে। বারবার লোকসানের মুখে পড়লেও হাল ছাড়েননি। এবার কাশ্মীরি জাতের কুল চাষে মুখে হাসি ফুটেছে তার। এলাকার বেকার যুবকদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।

সোহাগ নিজ গ্রামে সাড়ে ছয় বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন কাশ্মীরি আপেল কুলের বাগান। প্রতিটি গাছেই শোভা পাচ্ছে লাল টুকটুকে কুল। সোহাগ জানান, মাস ছয়েক আগে ভারত থেকে সাড়ে সাত শ কাশ্মীরি আপেল কুলের চারা আনেন। চারাপ্রতি খরচ হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এখন প্রতিটি গাছ থেকে ৩০-৪০ কেজি কুল সংগ্রহ করার আশা করছেন তিনি। আগামী বছর ফলন আরও দ্বিগুণ হতে পারে বলে ধারণা তার। এভাবে একটানা পাঁচ থেকে সাত বছর পর্যন্ত ফল বিক্রি করা যাবে। এ বছর আট থেকে নয় লাখ টাকার কুল বিক্রি করার প্রত্যাশা করছেন তিনি। সোহাগ জানান, এর আগে পেয়ারা চাষ করে লোকসানের মুখে পড়লেও এবার তিনি সফল।  জেলার দর্শনা সরকারি কলেজ থেকে ২০১২ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন সোহাগ। চাকরি না করে কেন কৃষিতে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি আলাদা ভালো লাগা কাজ করছিল। তাই লেখাপড়া শেষ করে চাকরি নামক ‘সোনার হরিণ’র পেছনে না ছুটে নেমে পড়ি কৃষিকাজে।

সোহাগ আরও জানান, এই জাতের কাশ্মীরি কুল চাষে বিঘাপ্রতি ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগে বছরে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তার সাফল্য অনেক শিক্ষিত বেকারকে কৃষিতে আগ্রহী করে তুলছে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিউর রহমান জানান, ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ এই জাতের কুলে তুলনামূলক রোগবালাই কম। কেউ কাশ্মীরি আপেল কুলের বাগান করতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত