বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ আসরের ফাইনাল শুক্রবার। শিরোপার লড়াইয়ে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস খেলবে তামিম ইকবাল-ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। দুই দলেই রয়েছে বিশ্বমানের সব অলরাউন্ডার। কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মনে করেন, ফাইনালে পার্থক্য গড়ে দেবে অলরাউন্ডাররাই।
তারকাবহুল ঢাকায় রয়েছে কিয়েরোন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেলের মতো অলরাউন্ডার। সুনিল নারিনও টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডার হিসেবে কার্যকরী। অন্যদিকে কুমিল্লায় রয়েছে শহীদ আফ্রিদি ও থিসারা পেরেরার মতো খেলোয়াড়।
তবে এই বিদেশি অলরাউন্ডারদের ভিড়ে ঢাকায় আবার সাকিব আল হাসানের মতো অলরাউন্ডার রয়েছেন। যা অলরাউন্ডারদের এই লড়াইয়ে ঢাকাকে এগিয়েই রাখছে। কুমিল্লায় অবশ্য সেই তালিকায় আছেন সাইফউদ্দিনের মতো তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এবারের বিপিএলে যার পারফরম্যান্স অসাধারণ।
ফাইনালের আগে কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন বলছেন, ‘‘আমি মনে করি অলরাউন্ডাররা টিম ব্যালান্সড করতে বড় ভূমিকা রাখে। তিন থেকে চারজন অলরাউন্ডার থাকায় ঢাকা বেশ এগিয়ে। তারা দুজন খেলোয়াড় বেশি নিয়ে খেলতে পারবে।’’
তবে ইমরুল কায়েস বলছেন, ‘‘আমরা তাদের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলেছি। আর এই দুই ম্যাচে কিন্তু চারটি অলরাউন্ডারই খেলিয়েছিল তারা। আমাদের কাছে সে দুই ম্যাচেই হেরেছে তারা। সুতরাং আমরা অতিরিক্ত কোনো পরিকল্পনা বা চিন্তা করছি না।’’
লিগ পর্বে ঢাকার বিপক্ষে প্রথমবারের দেখায় ৭ রানে জয় পায় কুমিল্লা। দ্বিতীয়বারের দেখায় কুমিল্লার জয় ১ রানে। প্রথমটিতে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন থিসারা পেরেরা। দ্বিতীয়তে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অর্থাৎ অলরাউন্ডারই নায়ক ম্যাচ দুটিতে।
ফাইনালেও তেমনটি হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন একটু সতর্ক, ‘‘চার অলরাউন্ডার থাকার পরও আমরা ওদের কাছে হেরেছিলাম। আমরা সম্পূর্ণ তাদের ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের দল হিসেবে খেলতে হবে। তবে মানসিকভাবে ওরা (কুমিল্লা) এগিয়ে থাকবে। কারণ ওরা আমাদের গ্রুপ পর্বে দুইবার হারিয়েছে।’’