দীর্ঘ চার মাস পর বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী নীল গাই দুটি সংসার শুরু করেছে শনিবার থেকে।
দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে রাজশাহী থেকে আনা হয়েছে পুরুষ নীল গাইটি। ইতিমধ্যেই নীল গাই দুটি রাখার জন্য রামসাগর জাতীয় উদ্যানে আলাদা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে নতুন অতিথি নীল গাই যুবরাজকে আনা হয় এ উদ্যানে। এত দিন রামসাগর উদ্যানে একাকিত্ব থাকা নীল গাই কন্যা ধীরস্থির থাকলেও নতুন সঙ্গী যুবরাজকে পেয়ে মনের আনন্দে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বেষ্টনীর মধ্যে।
দিনাজপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা ও রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক আবদুস সালাম তুহিন বলেন, ‘রামসাগর জাতীয় উদ্যানে শাবক জন্মদানে সক্ষম নারী নীল গাইটি রাখার পর এর বংশবিস্তারের জন্য সন্ধান করা হচ্ছিল পুরুষ নীল গাইয়ের। আমরা ভাগ্যক্রমে একটি পুরুষ নীল গাইয়েরও সন্ধান পেয়েছি। এটা আমাদের কাছে অনেক আনন্দের একটি বিষয়।
গত ২২ জানুয়ারি নওগাঁর মান্দা উপজেলা থেকে উদ্ধার হওয়া নীল গাইটিকে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ও পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে তার লালন পালন ও পরিচর্যা করার পর পুরুষ নীল গাইটিকে সুস্থ করা হয়। দিনাজপুর রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পূর্বের একটি নীল গাই কন্যা থাকার কারণে পুরুষ নীল গাইটিকে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার দিবাগত নতুন অতিথি পুরুষ নীল গাই যুবরাজকে আনা হয় রামসাগর জাতীয় উদ্যানে।
রামসাগর বন কর্মকর্তা তুহিন আরো জানান, এবার বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণীটির বংশবিস্তার সম্ভব হবে। রামসাগর জাতীয় উদ্যানে অনুকূল পরিবেশ থাকার কারণে এটা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঠাকুরগাঁও এর রানীশংকৈল উপজেলার সীমান্তে কুলীক নদীর ধারে নারী একটি নীল গাই উদ্ধার করে এলাকাবাসী। উদ্ধারের পর প্রাণীটিকে দিনাজপুর বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করলে সেটি রামসাগর জাতীয় উদ্যানে রাখা হয়। ওই সময় নারী নীল গাভিটির পেটে একটি বাচ্চা ছিল বলে জানা যায়। তবে প্রাণীটিকে ধরার সময় আঘাতপ্রাপ্ত হলে জীবিত একটি বাচ্চা প্রসব করার কিছুক্ষণ পর বাচ্চাটি মারা যায়। বর্তমানে দুটি প্রাণীই সুস্থ ও সুরক্ষিত আছে বলে জানা যায়।