মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

চোরাচালানের অভিযোগ মৈত্রী এক্সপ্রেসে

আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:১৩ পিএম

ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে প্রায় ১১ বছর আগে। এ রুটে প্রথম দিকে যাত্রীর সংখ্যা আশানুরূপ না হলেও, কয়েক বছর ধরে যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়েছে। বেড়েছে যাত্রীসেবার মানও। তবে কমেনি চোরাচালান ও লাগেজ কারবারিদের তৎপরতা। সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বাদে প্রতিদিন যাতায়াত করে মৈত্রী এক্সপ্রেস।যাত্রীদের দাবি, মৈত্রী এক্সপ্রেসে যাত্রীর চাপ বাড়লেও তেমন বাড়েনি যাত্রীসেবা। এ ছাড়া চোরাচালান ও লাগেজ কারবারিদের তৎপরতা তো রয়েছেই। চিহ্নিত একটি চক্র প্রতিনিয়ত কৌশল বদল করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা ব্যবসা। এ ক্ষেত্রে তাদের পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছেন মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কিছু সদস্য।

মৈত্রী এক্সপ্রেস নিয়ে ভারত থেকে গত রোববার বাংলাদেশে আসা যাত্রী সুস্মিতা ঠাকুরের অভিযোগ ও ক্ষোভ দুটোই আছে। গণমাধ্যমকর্মীর পরিচয় পেয়ে তিনি অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে বলেন, দাদা, যাচ্ছেতাই অবস্থা ট্রেনের ভেতর। এ যাত্রীর অভিযোগ, ভারতের গেঁদে স্টেশনের আগে ও পরে ট্রেনের স্বাভাবিক গতি কমিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে বস্তা বস্তা চোরাচালানের মালামাল ট্রেনে ওঠানো হয়। এরপর গেঁদে স্টেশন পেরিয়ে দর্শনা স্টেশনের আগে ও পরে সেগুলো ফেলে দেওয়া হচ্ছে। অনেকটা প্রকাশ্যে চোরাচালানির এমন দৃশ্য চোখে পড়লেও দেখেন না কেবল ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসব চোরাচালানের সঙ্গে রেলওয়ের শুল্ক আদায়ের দায়িত্বে থাকা এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত বলে অভিযোগ ভারতীয় এ যাত্রীর।

এ ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিচালক সফিউর রহমান বলেন, ‘প্রতিনিয়ত মৈত্রী এক্সপ্রেসে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এরপরও বিভিন্ন কৌশলে কিছু লাগেজ আসছে। এ বিষয়ে তৎপর আছি। তবে এসবের সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নেই।’ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম ট্রেনে চোরাচালান ও লাগেজ ব্যবসা প্রসঙ্গে জানান, এ বিষয়ে তিনি তেমন কিছুই জানেন না। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। এতে রেলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত