চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো অনশন করেছেন সেকায়েপ প্রকল্পের শিক্ষকরা। গতকাল রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচিতে ১০ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন মাহী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি দেশ রূপান্তরকে জানান, টানা চার দিনের অনশনেও সরকারের কোনো ঘোষণা না আসায় তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
বিশ্বব্যাংক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ অর্থায়নে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্পের (সেকায়েপ) আওতায় ২০১৫ সালে দেশের দুর্গম এলাকায় ৫ হাজার ২০০ জন অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) নিয়োগ দেওয়া হয়। এসিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘২০১৭ সালে প্রকল্প শেষ হওয়ার পর চাকরি স্থায়ী করার কথা থাকলেও ১৪ মাসেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। সেই থেকে আমরা বিনা বেতনে পাঠদান করে আসছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চাকরি স্থায়ীকরণের সুপারিশ করে চিঠি দিলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখনো তা বাস্তবায়ন করেনি।’ দাবি আদায়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর ৭ ফেব্রুয়ারি তারা অনশন শুরু করেন। গতকাল অনশনে অসুস্থ নিলুফা ইয়াসমিন, জেসমিন খাতুন, রুহুল আমিনসহ ১০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এদিকে এই শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি ও ঢাকা মহানগর বেসরকারি শিক্ষক সমিতি। সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমেদ গতকাল অনশনরত শিক্ষকদের কর্মসূচিতে গিয়ে সংহতি জানান।/