প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীরকে বৃহস্পতিবার বাদ আসর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে গণকবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে উত্তরায় তার চতুর্থ দফা নামাজে জানাজা হয়।
রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন সাংবাদিক শাহ আলমগীর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত কয়েক দিন তাকে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয়।
প্রথিতযশা এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। শোকের ছায়া নেমে আসে গণমাধ্যম অঙ্গনেও।
দাফনের আগে বিকেল তিনটায় তার তৃতীয় জানাজা হয় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে। জানাজা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আলমগীরের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জানাজায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল, চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক শাইখ সিরাজ।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পিআইবিতে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তথ্যসচিব আব্দুল মালেক ও পিআইবির ভারপ্রাপ্ত ডিজি মীর মো. নজরুল ইসলামসহ পিআইবি’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এর আগে রাজধানীর গোড়ানে দুপুর দেড়টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পিআইবির প্রধানের দায়িত্ব ছাড়াও শাহ আলমগীর বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। প্রায় ৪০ বছর সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহ আলমগীর। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় ১৯৮০ সালে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন।
এরপর দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ, সংবাদ ও প্রথম আলো ছাড়াও চ্যানেল আই, একুশে টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন, এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে কাজ করেছেন।
শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক পুত্র ও কন্যা সন্তানের জনক।