গত সোমবার ও মঙ্গলবারের অসময়ের বৃষ্টিতে হাতিয়ায় খোলা আকাশের নিচে মাঠে থাকা প্রচুর পরিমাণ শুঁটকি বৃষ্টিতে ভিজেছে।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। রোদ না থাকায় ভিজা শুঁটকি শুকানোও যায়নি । হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা জানান সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় কোটি কোটি টাকার শুঁটকি পচে গেছে।
হাতিয়ার আমতলী, কাটাখালী, মোক্তাইরা, জঙ্গলিয়া, নিঝুম দ্বীপ, রহমত বাজার, কালীর চর, সূর্যমুখী ও দানারদোল এলাকা ঘুরে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
জাহাজমারার আমিন ও ফারুক, খাসেরহাটের ফরিদ দালাল, চরচেঙ্গার আলী মিঞা এবং তমরদ্দির শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে কথা হয় দেশ রূপান্তরের।
শাহাদাত দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত দুই মাসে তিনি প্রায় এক কোটি টাকার ছেউয়া শুঁটকি কিনেছেন। বড় বড় প্রায় শতাধিক শুঁটকি ব্যবসায়ী ৫০ লক্ষ থেকে কোটি টাকার শুঁটকি কিনেছেন। সব শুঁটকিই রোদে শুকানোর জন্য খোলা আকাশের নিচে মাঠে বা নদীর পাড়ে রাখা ছিল। শুঁটকি পচে যাওয়ায় পুঁজি হারিয়ে ছোট বড় অনেক শুঁটকি ব্যবসায়ী মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
হাতিয়া জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছাইফুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে জানান, সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিনের বৃষ্টিতে হাতিয়ায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার শুঁটকি নষ্ট হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, বৃষ্টিতে প্রচুর ছেউয়া শুঁটকি নষ্ট হয়েছে শুনেছি, মৎস্য বিভাগ থেকে কোন পরিসংখ্যান করা হয়নি ,তাই আমার কাছে বৃষ্টিতে শুঁটকির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা নেই।