তিন দিনের ব্যবধানে দুই-দুটি এল ক্লাসিকো জিতে নিল বার্সেলোনা। দুই ম্যাচেই রিয়াল মাদ্রিদ হারল নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে।
শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে একমাত্র গোলেটি এসেছে ইভান রকিতিচের পা থেকে। এই জয়ে টেবিলের দুইয়ে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে শীর্ষে থাকা বার্সার পয়েন্টের ব্যবধান দাঁড়াল ঠিক ১০। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের চেয়ে বার্সার ব্যবধান ১২ পয়েন্টের। এই ব্যবধান ঘুঁচিয়ে রিয়ালের জন্য লিগ জয় এখন অসম্ভবেই পরিণত হলো।
এদিনের জয়ে বার্সা প্রথম দল হিসেবে বার্নাব্যুতে টানা চার ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে। ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর কোনো ক্লাসিকোই হারেনি দলটি।
এদিকে বার্সা কোচ সান্তিয়াগো সোলারি রিয়ালের দায়িত্ব নেওয়ার পর সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা তিনটি ক্লাসিকোতে জয় শূন্য থাকল (১টি ড্র, ২টি হার)। ১৯৮৭ সালে সর্বশেষ যে ভাগ্য বরণ করেছিলেন লিও বেনহাকার।
পরিসংখ্যান রিয়ালের অসহায়ত্বগুলো ফুটিয়ে তুললেও ক্লাসিকোর চিরন্তন উত্তাপ ছিল পুরো ম্যাচটি জুড়ে। লিওনেল মেসিকে যেমন সার্জিও রামোস প্রথমার্ধে ফাউল করতেই বাকযুদ্ধে জড়ালেন দুজন। দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন দৃশ্য দেখা মিলল কয়েকবার।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে লিড নেয় বার্সা। সার্জি রবার্তোর এসিস্ট থেকে গোলটি করেন রকিচিত। প্রথমার্ধেই যে ব্যবধানটা বাড়াতে পরত অতিথিরা। তবে রিয়ালের ত্রাতা ছিলেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। এই বেলজিয়াম তারকা দারুণ দারুণ সব আক্রমণ ঠেকিয়েছেন।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে খেলেছে রিয়াল। কিন্তু স্বাগতিকদের প্রতিটি আক্রমণেরই প্রায় পাল্টা জবাব দিয়েছে বার্সেলোনা। কাপিয়েছে রিয়ালের রক্ষণ। রিয়ালকে তাই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পরাজয় নিয়ে।
তিন দিন আগে রিয়ালকে কোপা দেলরের সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ক্লাসিকোতে হেরে। এবার লিগ জয়ের সম্ভাবনাও ফিকে হয়ে পড়ল। টানা তিন বারের ইউরোপ সেরাদের এবার একমাত্র মিশন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটা ধরে রাখা।
লিগে ২৬ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৬ ড্রয়ে মোট ৬০ পয়েন্ট বার্সার। সমান ম্যাচে ১৫ জয় ও ৩ ড্রতে ৪৮ পয়েন্ট রিয়ালের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আতলেতিকোর পয়েন্ট ২৫ ম্যাচে ৫০।