রক্ষণাবেক্ষণে অতিরিক্ত খরচের কারণে পিচ ঢালাইয়ের রাস্তা নির্মাণ পদ্ধতির বিকল্প ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশনের পরিচালক ড. মো. শামসুল হক। কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণে খরচ বেশি হলেও তা টেকসই ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম। তাই বাংলাদেশের জন্য কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের পক্ষে মত দেন তিনি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে হোলসিম সিমেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল কংক্রিট সলিউশনস’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে হাই পারফরমেন্স কংক্রিট নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফ্রান্সের লিয়নে অবস্থিত লাফার্জহোলসিমের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের গ্রোথ অ্যান্ড পারফরমেন্স ম্যানেজার জেরাল্ড মিশেল।
সেমিনারে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৫০ জনেরও বেশি প্রকৌশলী অংশ নেন। লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের (এলএইচবিএল) ইনোভেটিভ এবং গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক কাস্টমাইজড পণ্য তৈরির সক্ষমতা সবার সামনে তুলে ধরেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী রাজেশ সুরানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্মাণ খাতে টেকসই উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে চাই। নির্মাণ খাত এখন যেভাবে কাজ করছে তাতে পরিবর্তন আনতে চাই। আমরা চাই বিশে^র বড় বড় ইস্যুগুলো নিয়ে নির্মাণ খাতের কোম্পানিগুলো কাজ করুক। নির্মাণ খাতে বিশে^র এক নম্বর কোম্পানি হিসেবে এই খাতে ইনোভেটিভ সলিউশনস, জলবায়ু, পানি ও প্রকৃতির প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং সর্বোপরি অর্থনীতি ও জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার সুযোগ ও সামর্থ্য রয়েছে আমাদের।’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মো. শামসুল হক বলেন, ‘সাধারণত একটি পিচ ঢালাই রাস্তায় ২০ বছর কোনো রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন পড়ে না। নির্মাণ খরচও কংক্রিটের রাস্তার তুলনায় অনেক কম। তাই সারা বিশে^ই এটা জনপ্রিয়। তবে আমাদের দেশে এই রাস্তা নির্মাণে ত্রুটি থাকার কারণে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর স্থায়ী হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বছর ঘুরতেই প্রয়োজন পড়ে মেরামতের। আর এই বাড়তি রক্ষণাবেক্ষণ খরচের কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তার চেয়ে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’ পিচ ঢালাই রাস্তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পেছনে নির্মাণের সময় যথেষ্ট মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষার অভাবকে দায়ী করেন তিনি।