বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ধেয়ে আসছে একটি গ্রহাণু

আপডেট : ০৯ মার্চ ২০১৯, ১১:৩৭ পিএম

সৌরজগতে গ্রহ-নক্ষত্র ছাড়াও শূন্যে ভেসে বেড়ায় ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির শিলা বা পাথর খন্ড। এমনই একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। আগামী ২০ মার্চ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে এটি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা দপ্তর নাসার পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। এই গ্রহাণুটির নাম রাখা হয়েছে ২০১৯ ডিএন সিডি ৫। এর ব্যাস প্রায় ৭৫০ ফুট বা ২৩০ মিটার।

সতর্কবার্তা দিলেও নাসার পক্ষ থেকে আশ^স্তও করা হয়েছে। নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর কাছাকাছি আসলেও সংঘর্ষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। পৃথিবীর কক্ষপথে সেটি প্রবেশ করবে না। বিজ্ঞানীরা হিসাব কষে দেখেছেন, পৃথিবীর খুব কাছ দিয়েই অন্যদিক উড়ে যাবে গ্রহাণুটি। তাই আশঙ্কা না থাকলেও সাবধানতার ব্যাপারটিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।

এদিকে, গত ৭ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনই পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে কক্ষপথ ঘেঁষে ঘণ্টায় ১৬ হাজার মাইল গতিবেগে উড়ে গেছে আরেকটি গ্রহাণু। ওই গ্রহাণুটির নাম ২০১৯ ডিএন। এর ব্যাস ছিল ৬৫৬ ফুট বা ২০০ মিটার। সেদিন দুপুরের দিকে পৃথিবী এবং গ্রহাণুটির দূরত্ব সবচেয়ে কম ছিল।

নাসার পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই গ্রহাণুগুলোর মধ্যে খুব কমসংখ্যক গ্রহাণুই আছে যেগুলো পৃথিবীর জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। তবে এগুলোকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ পরবর্তীকালে ধেয়ে আসা কোনো গ্রহাণু যদি পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়, তবে সেটিকে মোকাবিলা করা জরুরি হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভবপর হবে।

এর আগে নাসা জানিয়েছিল, ২০১৮ এলএফ ১৬ নামে একটি গ্রহাণু, যার আকার বিগ বেন ঘড়ির থেকেও দ্বিগুণ আগামী ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে। তবে ওই গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা ৩ কোটি বারে একবার। তাই এখনই ভয়ের কোনো কারণ নেই। অতীতে অসংখ্যবার পৃথিবীর বুকে ছোট-বড় গ্রহাণু আছড়ে পড়েছে। গ্রহাণুর আঘাতে কোনো গ্রহ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার নজির পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত