বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া আমদানিকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) পরিমাণ ৫০ কোটি ঘনমিটার। আগামী মাস থেকে যুক্ত হবে আরও ৫০ কোটি ঘনমিটার। এ পরিমাণ এলএনজি আমদানি করতে জ্বালানি বিভাগ প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা ঘাটতিতে পড়বে বলে মনে করছে পেট্রোবাংলা। সেজন্য সংস্থাটি সব খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর যুক্তি দিয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানিতে এসব যুক্তি তুলে ধরেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ১ হাজার মিলিয়ন (১০০ কোটি) ঘনফুট গ্যাস আমদানি করলে ২৪ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা ঘাটতিতে পড়বে জ্বালানি খাত। এ ঘাটতি মোকাবিলায় গ্যাসের মূল্য বাড়ানো উচিত।’
এলএনজি আমদানিতে অর্থ সংকট আছে জানিয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা দরকার ছিল। কিন্তু অর্থ বিভাগ পেট্রোবাংলাকে কোনো অনুদান দেয়নি। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া, বাণিজ্যিক ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় বেসরকারি ব্যাংককে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এভাবে অর্থায়ন করলে আরও ৫ ভাগ খরচ বাড়বে।’
গণশুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য আবদুল আজিজ, মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, মাহমুদউল হক ভূঁইয়া।