করোনার কারণে প্রচলিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এসএমই) টেকসই ডিজিটাল ব্যবসায় রূপান্তরের সুযোগ তৈরি হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সুযোগ কাজে লাগাতে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মতো প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল গড়তে হবে। করোনা মহামারী বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করলেও এটি দেশের এসএমই খাতের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। করোনার ফলে এ দেশে প্রযুক্তিবান্ধব নতুন নতুন এসএমই এবং সাব-কন্ট্রাক্টিং শিল্পের বিকাশ ও মূল্য সংযোজনের সুযোগ উন্মোচন হয়েছে। গতকাল ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন ফর স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেসের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার অনলাইনে আয়োজিত ‘করোনা-পরবর্তী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের ভূমিকা : আর্থিক ও শিল্প প্রবৃদ্ধি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি ছিলেন।
ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন ফর স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেসের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রধান এসএম জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিয়ত উল্লাহ।
বক্তারা বলেন, করোনার প্রভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এতে বৈশ্বিক জিডিপিতে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। রপ্তানির ক্ষেত্রেও ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির এ ধরনের নেতিবাচক অবস্থার মধ্যেও সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, পৃষ্ঠপোষকতা ও শিল্প খাতে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের এসএমই খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে গত অর্থবছর বাংলাদেশে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি বেড়েছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত অর্থবছর বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ থাকলেও নতুন অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তা কমে হয়েছে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।