বিশ্বে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৬৪ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১২ লাখের ঘর। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের হিসাবে গতকাল রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্বে মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ২০০। গতকাল এই সময় পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ লাখ ১ হাজার ৭৫৯ জনের। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে আরোগ্য লাভ করেছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৯২ জন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে গতকাল সকাল ৯টা নাগাদ করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার ৭৮০। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছে ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৯ জন। আর বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৩।
হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুসারে বিশে^ করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মৃত্যু ছাড়াল ১২ লাখ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯১ লাখ ১৬ হাজার ১৮৬। দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৫ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮১ লাখ ৩৭ হাজার ১১৯। দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৪১ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬০৫। দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৮৪ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। স্পেন ষষ্ঠ। আর্জেন্টিনা সপ্তম। কলম্বিয়া অষ্টম। যুক্তরাজ্য নবম। মেক্সিকো দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২০তম।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কভিড-১৯’। ১১ মার্চ করোনাকে বৈশি^ক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।