রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় রায় ১২ অক্টোবর আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল রবিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার রায়ের দিন ধার্য করেন। এদিন আদালত ৫ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। মামলাটিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করে। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে। গতকাল আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করে। গত ২৯ আগস্ট সাফাতসহ ৫ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। মামলার অন্য ৪ আসামিরা হলেন সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনসহ সব আসামি জামিনে ছিলেন।
২০১৭ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। একই বছরে ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ গঠন করা হয়। অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে। মামলার বাদী আরও বলেন, তার মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়। ওই দুই ছাত্রী সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যান। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী তাদের বনানীর ২৭ নম্বর রোডে রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা আসামি সাফাত আহমেদের সাবেক স্ত্রী।