মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

জয় দিয়ে ব্রডকে বিদায় জানালো স্টোকসরা

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৩, ১১:৩২ পিএম

নিজেদের খোলস পালটে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ ইনিংসে তাদের আগ্রাসী ব্যাটেই খেলতে দেখা গেছে। ডেভিড ওয়ার্নার আর উসমান খাজা দাপুটে শুরু এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বিদায়ের পরই ছন্দপতন। পরে আর তাল মিলাতে পারেনি অজিরা। অ্যাশেজ সিরিজের শেষ ম্যাচ তাই জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। স্টিভ স্মিথদের ৪৯ রানে হারিয়ে স্টুয়ার্ট ব্রডের বিদায়ী ম্যাচটা তাই জয়ে রাঙিয়ে দিলেন বেন স্টোকসরা।

ওভালে ৩৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া ৩৩৪ রানেই অলআউট হয়েছে। ২-২ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করল ইংল্যান্ড। ওল্ড ট্রাফোর্ডে বৃষ্টির কারণে চতুর্থ টেস্ট ড্র হয়ে যাওয়ার পরই অবশ্য অ্যাশেজ ধরে রাখা নিশ্চিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

শেষ দিন সকালের সেশনটা ছিল ইংল্যান্ডের। আগের দিন অনেক খুঁজেও যে ব্রেকথ্রু পায়নি তারা, দিনের চতুর্থ ওভারেই সেটি এনে দেন ক্রিস ওকস। আরেকবার ডেভিড ওয়ার্নারকে ফেরানো হয়নি স্টুয়ার্ট ব্রডের, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের উইকেট নেন ওকসই। ৬০ রানে আউট হন তিনি।

পরের ওভারে এসে ওকস ফেরান আরেক ওপেনার উসমান খাজাকেও। মারনাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথের জুটিও বড় হয়নি। মার্ক উডের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে লাবুশেন ফেরায় ভাঙে সেটি। দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ড তখন অনেকটাই এগিয়ে।

বিরতির পর থেকে স্মিথকে ঝামেলায় ফেলছিলেন মঈন, যদিও তার প্রথম শিকারে পরিণত হন ট্রাভিস হেড। ৪৩ রান করে হেড স্লিপে ক্যাচ দেন বিশাল টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে। স্মিথ অবশ্য ছিলেন বেশ ইতিবাচক। কিন্তু ওকসের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে থামতে হয় তাকেও। মঈনের বলে মিচেল মার্শের ক্যাচ দারুণভাবে নেন বেয়ারস্টো, এরপর মিচেল স্টার্ককে থামান ওকস।

স্মিথ যখন আউট হলেন অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৫ উইকেটে ২৭৪। জয় থেকে তখনো অস্ট্রেলিয়া ১১০ রান দূরে। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে শুধু উইকেটে ছিলেন মিচেল মার্শ। ব্যক্তিগত ৬ রানে মঈনকে মার্শ উইকেট দেওয়ার পর ইংল্যান্ড জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে। অ্যালেক্স ক্যারি বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। ২৮ রান করে অস্ট্রেলিয়ার শেষ উইকেট হিসেবে আউট হন। তার উইকেটটি নেন ব্রড। পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে শেষ বলে উইকেট নিয়ে থামলেন। দলকে জেতালেন নিজের বিদায়ী ম্যাচে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত