চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। যৌন হয়রানির ঘটনায় ওই ছাত্রী গত সোমবার (২৫ ডিসেম্বর ) প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
ঘটনা অনুসন্ধানে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মনছুরকে আহ্বায়ক, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলামকে সদস্য ও সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী লিখেন, ‘গত রবিবার রাতে লেডিস ঝুপড়িতে আমি ও আমার বাগদত্তা কথা বলছিলাম। এ সময় দুইজন মুখোশধারী ব্যক্তি এসে আমাদের গালাগাল করতে থাকে। অযাচিত কথাবার্তা ও প্রশ্ন করা শুরু করে। তাদের উত্তর দেয়ার একপর্যায়ে তারা আমাদের ফোন-পার্স নিজের দখলে নিয়ে নেয়।’
এতে লেখা হয়, ‘তাদের একজন আমাকে অশালীন স্পর্শ করে। ঘটনার একপর্যায়ে আমাকে ফোনের লক খোলার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। লক না খোলায় আমাকে মারধর করে। একই কাজ আমার বাগদত্তার সঙ্গেও করে এবং তাকে মারধর করে। তারা আমার পার্স, তিনটি মোবাইল ফোন ও আমার বাগদত্তার প্রায় পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে লেডিস ঝুপড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘যৌন হয়রানি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা মেয়েটির দরখাস্ত পেয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দ্রুততম সময়ে রিপোর্ট দেবে। মেয়েটির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে, তাকে থানায় যেতে বলেছি। রিপোর্ট পেলে দোষীদের অবশ্যই আমরা শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
