বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

মহাসড়কে ইফতার হাতে অপেক্ষায় মেয়র

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিবহন-চালক-শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে তৈরিকৃত ইফতার নিয়ে অপেক্ষা করছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। রমজানের প্রতিদিন আসরের নামাজের পর থেকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে বাস, ট্রাক, মাইক্রো বাস, মিনি ট্রাক, সিএনজি ও পথচারীদের হাতে তৈরিকৃত ইফতার সামগ্রী তুলে দেন তিনি।

মেয়র স্বপন মিয়াজীর নিজ অর্থায়নে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার রোজাদারদের ইফতার দেন তিনি। ইফতারের প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে খেজুর, চনাবুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, মুড়ি, পানি। এ ছাড়া প্রতি শুক্রবার গরুর মাংস দিয়ে বিরিয়ানি দেওয়া হয়।

ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, গত আট বছর যাবত আমার নিজ উদ্যোগে রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন করছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরিবহন চালক শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছি। একজন রোজাদারকে ইফতার দিতে পেরে নিজের মাঝে যে আনন্দ তৃপ্তি পাওয়া যায় যা অন্য কিছু করে পাওয়া যায় না।

মেয়র আরো বলেন, প্রথম রমজানে আমরা ৫০০ প্যাকেট দিয়ে শুরু করেছি। রমজান যত বাড়ে ততই প্যাকেটের পরিমাণও বাড়ে। ৫০০ থেকে শুরু হয়েছে কয়েকদিন পরে ১ হাজার এরপর ১৫০০ প্যাকেট পর্যন্ত আমরা এখানে বিতরণ করি। যত বেশি চাহিদা হবে তত বেশি আমরা দেব।

ওষুধ কোম্পানির গাড়িচালক আবদুল মোতালেব বলেন, কোম্পানির মাল বিক্রি করে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাই। মাল বিক্রি শেষে ফেরার পথে মেয়রের দেওয়া ইফতার নিয়ে যাই। সারাদিন পরিশ্রম করে ইফতার তৈরি করা সম্ভব হয় না। ত্রিশ রমজানের মধ্যে প্রায় সব রমজানের ইফতারি এখান থেকে নিয়ে করি। এখন আর ইফতার নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না।

চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন কাসেম আলী। ফেনীতে এসে বাসের জানালা দিয়ে একটি ইফতারের প্যাকেট হতে পেয়ে অনেক খুশি তিনি। উৎফুল কণ্ঠে চিৎকার করে মেয়র স্বপন মিয়াজীকে বলেন, ইফতার করা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন আর চিন্তা নেই।

ট্রাকচালক জব্বার আলী বলেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইফতার করতে অনেক সমস্যা হয়। সময় ও ইফতার কোনোটার মিল হয় না। সেজন্য অনেক সময় আমরা পানি দিয়ে ইফতার করি। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখছি মহিপালে এলে ইফতারের প্যাকেট পাই। প্যাকেটের মধ্যে থাকা ইফতার দিয়ে ইফতার করি। ইফতার করা নিঢে আর চিন্তা করতে হয় না।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত