বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

আইএস-কে ছাড়াও নানা সংগঠনের তৎপরতা

আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৯ এএম

পাকিস্তানের কয়েক দিনের বিরতিতে নিয়মিতই ছোটখাটো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ গত রবিবার বেলুচিস্তান প্রদেশের গোয়াদর বন্দর এলাকায় সেনাবাহিনীর এক চৌকিতে বন্দুকধারীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। চলতি মাসে আরও বেশ কয়েকবার এই ধরনের হামলার ঘটনা দেখা গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এসব হামলার দায় স্বীকার করে আসছিল। তবে সম্প্রতি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলসহ নানা জায়গায় টিটিপি ছাড়াও আরও কতগুলো অস্ত্রধারী সংগঠন বিস্তার লাভ করেছে। 

পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোর ভাষ্য, গত সপ্তাহে আত্মঘাতী হামলায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি গাড়িবহরে পাঁচজন চীনা নাগরিক এবং গাড়ির চালক নিহন হন। এই ধরনের হামলার জন্য টিটিপি-কে সন্দেহ হচ্ছে। তবে গত বুধবার একটি বিবৃতিতে তারা চীনা কর্মীদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করেছে।

এর আগে গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে দুটি আত্মঘাতী হামলায় ৯জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। জঙ্গিরা বেলুচিস্তান প্রদেশে আরব সাগরের কাছে একটি বন্দর অবকাঠামোয় এই হামলা চালায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, হামলায় দুজন সৈন্য ও ১৪ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এসব হামলায় বেলুচিস্তানভিত্তিক সংগঠনগুলো জড়িত।

এই অঞ্চল জুড়ে বর্তমানে সন্ত্রাসবাদী কর্মকা-ের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসলামিক স্টেট- খোরাসান (আইএস-কে)। তারা নিজেদের বৃহত্তর ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শাখা বলে মনে করে। তারা শিয়া মতাবলম্বী ইসলামের বিরোধিতা করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে শত শত শিয়া হত্যার কৃতিত্ব তারা দাবি করে। তাদের সঙ্গে আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বের মতবিরোধ রয়েছে।

গত বছরের জুনে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অঞ্চলে আইএস-কের সদস্য ও যোদ্ধাদের সংখ্যা ৪-৬ হাজারের মতো।

বিশ্লেষকরা বলেন, ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সেনারা চলে যাওয়ার পর টিটিপি তার রণকৌশল বদল এনেছে যারা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক বিস্তার করে রয়েছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত