জেনে রাখা ভালো : ইমানের পর ইসলামের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমল হলো নামাজ। নামাজ ইসলামের প্রাণ। মুমিন এবং কাফেরের মাঝে বড় পার্থক্য হলো নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও নফল নামাজ পড়ার বিধান ইসলামি শরিয়তে রয়েছে। সালাতুল হাজাত বা ‘প্রয়োজনের নামাজ’ একটি বিশেষ নফল ইবাদত। মানুষের বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়। সালাতুল হাজত একটি সাধারণ নফল নামাজ। এই নামাজ পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিন ধার্য করা নেই যে, এই দিনই পড়তে হবে। বরং যখনই কেউ কোনো বিপদ-আপদের সম্মুখীন হবে তখনই সালাতুল হাজাত পড়া তার জন্য কল্যাণকর।
কোরআন থেকে : কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক ও মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘সংগত কোনো প্রয়োজন পূরণের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর কাছে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করবে।’ -(সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)
হাদিস থেকে : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কোনো প্রয়োজন পূরণে নিজে এ নামাজ পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে যখন গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রয়োজন বা বিষয় (বিপদ-আপদ) চলে আসত তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন।’ -(আবু দাউদ)
করব : সালাতুল হাজাত আদায়।
ছাড়ব : হতাশা।
মাসয়ালা : সালাতুল হাজাতের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। নামাজ শেষে আল্লাহতায়ালার হামদ, সানা এবং রাসুল (সা.)-এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠের পর প্রয়োজনীয় বিষয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
ভুল ধারণা : সালাতুল হাজাত পড়ার জন্য নির্দিষ্ট দিন নির্ধারিত করা, এটা ঠিক নয়। নিজের যেকোনো প্রয়োজনে ধারাবাহিকভাবে সারা জীবন সালাতুল হাজাত পড়া যায়।
উপকারিতা : জীবনে চলার পথে প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন। অনেক সময় সেসব সমস্যার উপযুক্ত সমাধান না পেয়ে হতাশায় ভুগতে থাকেন। তখন সালাতুল হাজাত পড়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।
দোয়া : সালাতুল হাজাত পড়ার পর এই দোয়া পড়া ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুনহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিকা ওয়া আজাইমা মাগফিরাতিকা ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইসমিন লা তাদালি জানবান ইল্লা ওয়াফার তাহু ওয়ালা খাম্মান ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিবান ইল্লা কাদাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমিন।’