অনেক সময় দৈনিক লাইফস্টাইল ঠিক থাকলেও বা ব্যালান্সড ডায়েট মেনে চললেও কয়েক দিনের অনিয়ম, তেল-মসলাযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার কারণে বদহজম, অ্যাসিডিটি, বুকজ্বালা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যেতে পারে।
যে খাবার খেলে বুঝতে পারছেন হজমে সমস্যা হচ্ছে, সেগুলো খাওয়া বাদ দিন। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। এরপর নজর রাখুন লাইফস্টাইল ও ইটিং হ্যাবিটের ওপর।
একসঙ্গে বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া, খেতে খেতে পানি খাওয়া, খেয়েই শুয়ে পড়া কিংবা অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকার অভ্যাস থাকলে তাও বাদ দিতে হবে। এই প্রত্যেকটি কারণই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হার্টবার্ন, গ্যাসটিকের মতো অসুখের জন্য দায়ী।
এক-দেড় ঘণ্টা পর পর অল্প পরিমাণে পানি খান। শরীরে জমে থাকা অ্যাসিড প্রশমিত করতে অ্যালকালাইন যুক্ত খাবার বেশি খান। নিয়মিত টাটকা ফল যেমন তরমুজ, আম, আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, কলা ইত্যাদি ডায়েটে রাখুন। আলু, লাউ, ঝিঙের মতো সবজিও ডায়েটে রাখতে পারেন।
অ্যাসিড উৎপাদনকারী খাবার থেকে হওয়া অ্যাসিডিটি কমাতে কলা ভীষণ উপকারী। এ ছাড়া মধু, খেজুর, ভুট্টা, জোয়ার, মাশরুম, কিশমিশ, টক দই ইত্যাদিও অ্যাসিডিটির দাওয়াই। বাঁধাকপি, শসা, ধনেপাতা, লাউ, গাজর ইত্যাদি সবজির রস খেয়েও উপকার পাবেন। এতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে বলে অ্যাসিডিটি ও অ্যালকালাইনিটির ভারসাম্য সঠিক থাকে।
দৈনন্দিন জীবন যতটা সম্ভব স্ট্রেসমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। হালকা ব্যায়াম, জগিং, দৌড়ানো, স্কিপিং করতে পারেন।
চটজলদি অ্যাসিডিটি কমাতে এক গ্লাস পানি খানিকটা সোডিয়াম বাই কার্বোনেট গুলে খেতে পারেন। এই মিশ্রণ ফ্রুট সল্টের মতোই কার্যকরী। ডাবের পানি, গুড় মেশানো পানি বা গোটা জিরা দিয়ে ফোটানো পানি খেলেও উপকার পাবেন।
নিয়মিত ঈষদুষ্ণ পানি অল্প আদা বাটা, এক চিমটি হিং ও সামান্য বিট লবণ মিশিয়ে খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকাংশে কমবে।
খাবার খাওয়ার পর বেশ খানিকক্ষণ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকুন, বসা বা শোয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে।