গত সপ্তাহে লন্ডনে প্রথম লেগ ২-২ সমতায় শেষ করে আসাই বায়ার্ন মিউনিখের জন্য জয়ের মতো ছিল। কারণ তারা জানে, আর্সেনালকে নিজেদের মাটিতে বড় ব্যবধানে হারাতে পারে। ২০১৫ ও ২০১৭ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় গানার্সদের ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল। এবার অত বেশি নয়, স্বল্প ব্যবধানই ছিল যথেষ্ট।
বুধবার দ্বিতীয় লেগে মাত্র একটাই গোল হয়েছে ম্যাচে। ৬৩ মিনিটে জশুয়া কিমিখের সেই গোলেই দরকারি টিকিটটা নিশ্চিত করে ফেলেছে বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লেগ মিলিয়ে আর্সেনালকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বায়ার্ন। চার বছর পর প্রথম, আর সব মিলিয়ে ১৩তম বার ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার শেষ চারে উঠল জার্মান দলটি।
অবশ্য স্বল্প ব্যবধান গড়তেই টমাস টুখেলের দলকে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে। শুরু থেকে আর্সেনাল রক্ষণে বেশি মনোযোগ দেওয়ায় বায়ার্ন প্রথম লক্ষ্যে শট রাখতে পেরেছে ২৪তম মিনিটে।
জামাল মুসিয়ালার দূর থেকে নেওয়া আচমকা সেই শট অবশ্য আর্সেনাল গোলকিপার ডেভিড রায়া ঝাঁপিয়ে রুখে দেন। ৩১ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। মার্টিন ওডেগার্ডের কাছ থেকে পাওয়া বলে যে শটটি তিনি নেন, সেটি সোজা চলে যায় মানুয়েল নয়ারের হাতে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষে বিরতির পরপরই বায়ার্নের গোরেৎস্কার জোরালো হেড ক্রসবারে লাগে। ফিরতি বলে রাফায়েল গেরেইরোর শট আর্সেনাল গোলকিপারের হাতের পর পোস্টে লাগে। তবে গোলের জন্য এরপর আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বায়ার্নকে। ৬৪ মিনিটে গেরেইরোর দারুণভাবে বাড়ানো বলে ছুটে গিয়ে হেডে জালে জড়ান কিমিখ। চলতি বছরে এটি তার প্রথম গোল।
১৫ বছর পর সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ হারানো আর্সেনাল কোচ মাইকেল আর্তেতা বলেছেন, ‘সাত বছর এই প্রতিযোগিতায় খেলিনি আমরা। ১৪ বছর হলো এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়িনি (কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা)। কেন পারিনি আমরা তার কারণ আছে। আমাদের শিখতে হবে। দেখতে পাবেন, একটা ক্লাবের সেই পর্যায়ে যেতে অনেক সময় লাগে।’