কোন কাজে আপনার মঙ্গল হবে। কোন কাজে মঙ্গল হবে না। সেটা সম্পূর্ণ আল্লাহর হাতে। মানুষ কখনোই ভবিষ্যতের কিছু বলতে পারে না। কোনো কুসংস্কারে বিশ্বাস রেখে যদি বলা হয় ওটা করলে মঙ্গল হবে, তাহলে এমন চিন্তা ও ধারণা হবে সম্পূর্ণ ভুল এবং ইসলামি শরিয়তবিরোধী। অনেক সময় আমরা মনে করি, এই কাজটা এমন করলে ভালো হতো। অথচ ওই কাজটা ঠিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। যেভাবে হলে আমাদের জন্য ভালো হবে। আল্লাহ সেভাবেই করার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু অনেক সময়ই সেটা আমরা বুঝতে সক্ষম হই না।
মানুষ আল্লাহর ফায়সালার ওপর ভরসা রাখতে চায় না। অথচ বান্দাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন আল্লাহ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর যারা মুমিন, আল্লাহর সঙ্গে তাদের ভালোবাসা প্রগাঢ় (সুরা বাকারা ১৬৫) মানুষ বারবার পাপ করে অনুতপ্ত হৃদয়ে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা রাতে তার ক্ষমার হাত প্রসারিত করেন, যেন দিনের গুনাহগাররা তওবা করে। আবার তিনি দিনে তার ক্ষমার হাত প্রসারিত করেন, যেন রাতের গুনাহগাররা তওবা করে। (সহিহ মুসলিম)
আল্লাহ যা বলেননি, রাসুল (সা.) যে কাজ করেননি সেখানে কল্যাণ খোঁজ করা এবং কল্যাণ কামনা করা খুবই বোকামি। একইভাবে তা ইমান ও আমলের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শিরক হয়ে যেতে পারে। আর শিরক হলো মস্ত বড় গুনাহ। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর স্মরণ করো সেই সময়ের কথা, যখন লুকমান উপদেশ হিসেবে তার পুত্রকে বললেন, হে বৎস, আল্লাহর সঙ্গে শরিক করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা বড় জুলুম।’ (সুরা লুকমান ১৩)
মহান আল্লাহ শিরককারীকে ক্ষমা করেন না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে ব্যক্তি তার সঙ্গে শরিক করে। এছাড়া অন্য পাপের ক্ষেত্রে তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শিরক করল, সে অত্যন্ত গুরুতর অপবাদ আরোপ করল।’ (সুরা নিসা ৪৮)
কুসংস্কার কখনোই মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। মহান আল্লাহ যা বলেছেন, রাসুল (সা.) যা করেছেন সমস্ত মঙ্গল সে সবের মধ্যেই। এর বাইরে মঙ্গল খোঁজা অর্থহীন। নিতান্তই মুর্খতা। কখনোই এমন কিছু করা যাবে না যা মহান আল্লাহর একত্ববাদের পরিপন্থী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। এটা মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে। এ জন্য শিরকের বিষয়ে সবার সতর্ক থাকা প্রয়োজন।