বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে খাবার গ্রহণ করতে হয়। খাবার নিজে খাওয়া এবং অপরকে খাওয়ানো দুটোই ইবাদত। যদি তা কোরআন সুন্নাহ অনুযায়ী হয়। কিন্তু পরিমাণের অতিরিক্ত খাওয়া, মেহমানদারি করতে গিয়ে খাবার নষ্ট করা কিংবা মেহমান কর্তৃক খাবার নষ্ট হওয়া, এসবের কোনোটাই ইসলাম সমর্থিত নয়।
খাবার না থাকলে রাসুল (সা.) কয়েক দিন না খেয়েও থেকেছেন। আবার যখন প্রচুর খাবার এসেছে তখন রাসুল (সা.) বেশি খাননি। কম খেয়ে সবার মধ্যে খাবার বিলিয়ে দিয়েছেন। কী সুন্দর অনুপম শিক্ষা বিশ্বনবী (সা.) আমাদের জন্য রেখে গেছেন। আর আমরা তার আদর্শকে বিকৃত করে ফেলেছি। আমরা হয়তো পরিমিত খাবারের চেয়ে বেশি গ্রহণ করছি অথবা খাবার নষ্ট করছি। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
খাদ্যের অপচয় যারা করে তারা আল্লাহর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত। আল্লাহর ভালোবাসা না পেলে গোটা জীবনই বৃথা। বান্দা তো আল্লাহকে সন্তুষ্টির জন্যই কাজ করে। দুনিয়ার জীবনকে আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করে। আল্লাহতায়ালা কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা অপচয় করো না, আল্লাহ অপচয়কারীকে ভালোবাসেন না।’ অপচয়কারী শয়তানের ভাই। কেননা বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।’ অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারী ও মিথ্যাবাদীকে পথ প্রদর্শন করেন না।’
নবী (সা.) নিজে কম আহার করতেন। তিনি কম আহার করতে বলেছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানও তাই বলে। অতিভোজনে অসংখ্য অসুখ-বিসুখ ডেকে আনে।