কোজাগরি পূর্ণিমা রাত ফুল বাগানে একা,
আপন মনে বেড়াই ঘুরে কারোরই নেই দেখা।
এমন সময় হঠাৎ দেখি দোলন চাপার বনে,
ফুল পাখিরা গান ধরেছে কি আনন্দ মনে!
জুঁই চামেলি হাসনা হেনা গোলাপ বেলি ফুল,
দারুণ খুশি আসবে শুনে-বিদ্রোহী নজরুল।
আমি তখন চমকে উঠি ভড়কে গিয়ে শেষে,
ভাবছি শুধুই আসবে কবি কোন অপরূপ বেশে?
মনের মাঝে অগ্নিবীণা বিষের বাঁশির তান,
মধুর সুরে বাজলো, আহা! ছুটলো খুশির বাণ।
আসবে কবি! আসবে কখন? এই তো এলো চলে,
সেই খুশিতে নাচে পাখি প্রাণের সখা বলে।
বলল কবি, ‘কিরে বাছা আজও আছিস সবে,
তোদের এত প্রেমের সুধা আর কতকাল রবে?
পূর্ণিমা রাত এলেই এমন ব্যাকুল কেন হোস,
নিছক তোদের কবি আমি এই কি আমার দোষ?’
ফুল পাখিরা বলল তখন, ‘শুনলে প্রিয় কবি?
তুমি আমি মিলেই হলাম গান কবিতার ছবি
ওই যে দেখ পাঠক তোমার তাকেই শোন ডেকে,
তুমি আছ সবার প্রাণে প্রীতির পরশ মেখে।’
তখন কবি ডাকলো আমায় ফুল পাখিদের সাথে,
পরম স্নেহে টানলো বুকে অগ্নিবীণা হাতে।