মানুষের পাপের কারণে জলে-স্থলে বিপর্যয় নেমে আসে। দুনিয়ার জীবনে পাপের অন্যতম শাস্তি হলো জীবনযাত্রা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়া। সর্বত্র অশান্তি দেখা দেওয়া। মহান আল্লাহ মাঝে মাঝে বান্দাকে তাদের পাপের শাস্তিস্বরূপ বিভিন্ন ধরনের বিপদাপদ ও শাস্তি দিয়ে থাকেন। কিন্তু বান্দা যখন ইসতেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন তিনি তার শাস্তি উঠিয়ে নেন। তাদের বিপদ থেকে রক্ষা করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ এমন নন যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে (ইসতেগফার করবে) অথচ তিনি তাদের শাস্তি দেবেন।’
(সুরা আনফাল, আয়াত ৩৩)
যেকোনো বিপদাপদ, দুশ্চিন্তার সময়ে ইসতেগফার ও আল্লাহর ওপর ভরসা মানুষকে দুশ্চিন্তা, সংকীর্ণতা ও বিপদমুক্ত করে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের জন্য ইসতেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) আবশ্যক করে নেবে, আল্লাহ তাকে সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন, সব সংকীর্ণতা থেকে উদ্ধার করবেন এবং তাকে এমনভাবে জীবিকার ব্যবস্থা করবেন, যা তার চিন্তার বাইরে।’
(সুনানে নাসায়ি)
দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা অর্জনে ইসতেগফার দারুণ কার্যকর। এর মাধ্যমে যেমন আখেরাতের মুক্তি পাওয়া যায়, তেমনি দুনিয়াতেও এর সুফল অপরিসীম। এর মাধ্যমে আল্লাহ রিজিকে বরকত দেন, সম্মান বাড়িয়ে দেন।
বর্তমানে গোটা বিশ্বে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কাজ করছে। অভাব, অনিশ্চয়তা ও দুশ্চিন্তা মানুষকে ঘিরে ধরছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় হলো, যার যার জায়গা থেকে বিশুদ্ধভাবে তওবা-ইসতেগফার করা। আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া। ইনশাআল্লাহ মহান আল্লাহ আমাদের সব রকম বিপদাপদ থেকে রক্ষা করবেন।