এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। এই ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রক্তের নয়। এটা হলো ইমানের বন্ধন। সেই ভ্রাতৃত্বের প্রয়োজনেই এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তায়। বিশেষভাবে যখন কেউ রোগাক্রান্ত হয় তখন তার খোঁজ-খরর নেওয়া এবং তাকে সান্ত¡না দেওয়া ইমানি দায়িত্ব। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
কেউ অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে আমি বলতে শুনেছি যে, এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটি। তা হলো, সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ-খবর নেওয়া, জানাজার পশ্চাদানুসরণ করা, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচির জবাব দেওয়া। (সহিহ বুখাররি ১২৪০)
রোগীকে সান্ত্বনা দেওয়া : রোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম, তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান করে পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের কাছে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজ-খবর নিতে। তিনি বললেন, তোমার চিন্তার কোনো কারণ নেই। ইনশাআল্লাহ তুমি সুস্থ হয়ে যাবে। বেদুইন বলল সুস্থতা? না, বরং এটি এমন জ্বর, যা একজন বেশি বুড়োকে সিদ্ধ করছে, ফলে তাকে কবরে নিয়ে ছাড়বে। রাসুল (সা.) বললেন, হ্যাঁ, তবে তাই। (সহিহ বুখারি ৭৪৭০)
অসুস্থতা গুনাহ মাফের অসিলা। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবিজী (সা.) বলেন, মুমিন ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হলে আল্লাহ তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করেন, যেমন হাপর লোহাকে পরিচ্ছন্ন করে। (আদাবুল মুফরাদ ৪৯৯) অন্য এক হাদিসে হজরত আয়েশা (রা.) থেকেই একটু বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, কোনো মুসলমান ব্যথা-বেদনা বা রোগ-ব্যাধির দ্বারা বিপদগ্রস্ত হলে তা তার গুনাহের কাফফারা হয়, এমনকি তার দেহে কাঁটা বিধলে বা লাগলে বা সে হোঁচট খেলে তাও। (আদাবুল মুফরাদ ৫০০)