কক্সবাজারের উখিয়ায় পাল্টাপাল্টি হামলায় আরসার এক সদস্য ও আরএসও’র দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও কয়েকজন। গতকাল সোমবার ভোর রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৪ এর এক্সটেশন ব্লক এফ এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৪-এর এফ ব্লকের আরসার সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. ইলিয়াছ (৩১), একই ব্লকের আরএসও সদস্য মো. ইছহাক (৫৪) ও ক্যাম্প ৩ এর ব্লক ই/৬৪ এর আরএসও সদস্য ফিরোজ খাঁন (১৮)। আর আহতরা হলেন, আব্দুল হক (৩২), আব্দুস শুক্কুর (৫৫) ও আব্দুল মোনাফ (৬০)। তারা সকলে ক্যাম্প-৪/এক্সটেনশনের ব্লকের বাসিন্দা এবং আরএসও সদস্য হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া আরও কয়েকজন আরএসও সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
উখিয়া থানা পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, গতকাল রাত ৩টার দিকে পাহাড় থেকে ১২ / ১৪ জন আরসা সন্ত্রাসী ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের এফ ব্লকের কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ক্যাম্পের আসেন। এই খবর পেয়ে আরএসও সদস্যরা ক্যাম্পে পাহারারত রোহিঙ্গা ইলিয়াছকে আরসা সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় ইলিয়াছ তাদের কাছে আরসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দেওয়ায় তাকে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে ও তলপেটে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে ইলিয়াছের ওপর হামলার খবর পেয়ে আরসা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আরএসও সদস্য মো. ইছহাক, ফিরোজ খাঁন, আব্দুল হক, আব্দুস শুক্কুর ও আব্দুল মোনাফ হামলা করে। এ সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন আরসার সদস্যরা। এরপর সাধারণ রোহিঙ্গারা তাদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোহিঙ্গা মো. ইছহাক ও ফিরোজ খাঁনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যান্য আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল বলেন, একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। দুজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।