ডিমের পুষ্টিগুণ অনেক। অনেকেই ডিম খেতে খুবই ভালোবাসেন। কেউ কেউ আছেন প্রতিদিন দুটি-তিনটি ডিম খেয়ে ফেলেন। কিন্তু দিনে দুটি-তিনটি ডিম খেলে কি সত্যিই শরীরের কোনো উপকার হয়? নাকি শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ডিমের গুণের শেষ নেই। ডিমে রয়েছে প্রোটিনের ভান্ডার। একটা ডিম থেকে মোটামুটি ৬ গ্রামের কিছুটা বেশি পরিমাণ প্রোটিন মেলে। আর ডিমের প্রোটিন কিন্তু খুবই সহজপাচ্য। এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী সব অ্যামাইনো অ্যাসিড। তাই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে চাইলে নিয়মিত ডিম খেতেই হবে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি২, ভিটামিন ই, কোলিন, আয়রন এবং ফোলেট থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। আর এসব উপাদান কিন্তু শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই সবাইকে নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সবাই প্রায় জানি, ডিম খেলে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে। আর সেই কারণেই অনেকে প্রতিদিন একাধিক ডিম খেতে শুরু করে দেন। আর এ কারণে শরীরে কার্ব, ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। প্রতিদিন একটি ডিমই যথেষ্ট। ডিম খুবই সহজপাচ্য প্রোটিন জাতীয় খাবার। কিন্তু ডিমের মতো হালকা খাবারও হজম হতে অনেকটা সময় নেবে। আর সেই কারণে হতে পারে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো একাধিক জটিল সমস্যা। বিশেষত, আইবিএস, আইবিডির মতো অসুখ থাকলে এমন সমস্যা বাড়তে পারে।
ডিমের কুসুমে অত্যন্ত উপকারী কিছু ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। আর এসব উপাদান কিন্তু শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিমের কুসুমে রয়েছে কোলেস্টেরলের ভান্ডার। আর এই উপাদান হার্টের ভয়াবহ ক্ষতি করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই হার্টের অসুখের ফাঁদ থেকে বাঁচতে চাইলে রোজ দুটি ডিম খাওয়া চলবে না।
প্রতিদিন একটি ডিম যে কোনো সুস্থ মানুষ খেতেই পারেন। কিন্তু তার বেশি ডিম রোজ খাওয়া উচিত নয়। অন্যদিকে যারা ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাই প্রেশারের মতো সমস্যায় আক্রান্ত, তারা রোজ গোটা ডিম না খেয়ে সপ্তাহে দুই-তিনবার খান।
আর অন্য দিনগুলো ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।