সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

পাহাড়ের ভাষা

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০৮ এএম

অনুবাদ: শাহীন খান

চরিত্র

যুবতি, বৃদ্ধা, সার্জেন্ট, অফিসার, প্রহরী, কয়েদি, হুডপরা লোক

দৃশ্য-১ জেলখানার দেয়াল

একদল মহিলার সারি। একজন বৃদ্ধা তার হাত ঝাঁকাচ্ছেন। তার পায়ের কাছে একটি বাস্কেট। একজন যুবতি বৃদ্ধার কাঁধে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আছে। সার্জেন্ট প্রবেশ করে। তার পেছনে একজন অফিসার। সার্জেন্ট যুবতির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে

সার্জেন্ট : নাম?

যুবতি : আমরা আমাদের নাম দিয়েছি।

সার্জেন্ট : নাম?

যুবতি : আমরা আমাদের নাম দিয়েছি।

সার্জেন্ট : নাম?

অফিসার : (সার্জেন্টকে) এসব ফালতু কথা বন্ধ কর। (যুবতিকে) কোনো অভিযোগ?

যুবতি : উনাকে কামড়ে দিয়েছে।

অফিসার : কে? কাকে কামড়েছে?

যুবতি : উনাকে। উনার হাত ছড়ে গেছে। উনার হাত কামড়ে দিয়েছে। দেখছেন না রক্ত?

সার্জেন্ট : (যুবতিকে) তোমার নাম?

অফিসার : থামো তুমি।

অফিসার বৃদ্ধার দিকে হেঁটে যায়।

অফিসার : হাতে কী হয়েছে? কেউ তোমার হাত কামড়ে দিয়েছে?

বৃদ্ধা ধীরে তার হাতটা উঁচু করে। অফিসার ভালো করে দেখে।

অফিসার : কে করেছে? তোমাকে কে কামড়েছে?

যুবতি : একটা ডোবারম্যান পিনোচা।

অফিসার : কোনটা?

বিরতি

অফিসার : কোনটা?

বিরতি

অফিসার : সার্জেন্ট!

সার্জেন্ট এগিয়ে আসে

সার্জেন্ট : স্যার!

অফিসার : এই মহিলার হাতটা দেখুন। বুড়ো আঙুলটা মনে হচ্ছে খসে পড়বে। (বৃদ্ধাকে) কে করল এটা?

বৃদ্ধা তার দিকে তাকিয়ে থাকে

অফিসার : কে করল এটা?

যুবতি : বিশাল একটা কুকুর।

অফিসার : কী নাম তার?

বিরতি

অফিসার : তার নাম কী ছিল?

বিরতি

অফিসার : প্রত্যেকটা কুকুরের একটা নাম আছে! নাম ধরে ডাকলে তারা সাড়া দেয়। তাদের বাবা-মা তাদের একটা নাম দিয়েছে এবং সেটাই তাদের নাম! কামড় দেওয়ার আগে তারা তাদের নাম বলে থাকে। এটাই আনুষ্ঠানিক রীতি। তারা তাদের নাম বলে এবং তারপর কামড় দেয়। ওর নাম কী ছিল? তুমি যদি বল যে আমাদের কোন কুকুর, তার নাম না বলে এই মহিলাকে কামড়েছে, তাহলে সেই কুকুরকে আমি গুলি করে মারব।

নীরবতা

অফিসার : এখন সবাই মনোযোগ দাও! সবাই চুপ এবং মনোযোগ! সার্জেন্ট!

সার্জেন্ট : স্যার!

অফিসার : কোনো অভিযোগ থাকলে নাও।

সার্জেন্ট : কোনো অভিযোগ? কারও কোনো অভিযোগ আছে?

যুবতি : আমাদের আজ সকাল ৯টায় এখানে আসতে বলা হয়েছিল।

সার্জেন্ট : ঠিক, একদম ঠিক। আজ সকাল ৯টায়। একদম ঠিক। তোমার অভিযোগ কী?

যুবতি : আমরা সকাল ৯টায় এখানে এসেছি। এখন বাজে বিকেল ৫টা। আমরা আট ঘণ্টা ধরে এখানে বরফের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। আপনাদের লোকজন ডোবারম্যান পিনোচা দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। একটা এই মহিলার হাত কামড়ে দিয়েছে।

অফিসার : কুকুরটার নাম কী ছিল?

যুবতি অফিসারের দিকে তাকায়

যুবতি : আমি তার নাম জানি না।

সার্জেন্ট : আপনি অনুমতি দিলে, স্যার?

অফিসার : ঠিক আছে।

সার্জেন্ট : তোমাদের স্বামী, ছেলে, বাবা যাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য তোমরা অপেক্ষা করছ তাদের সবাই একেকটা কাপুরুষ। তারা দেশদ্রোহী। তারা সব আবর্জনা।

অফিসার যুবতির দিকে এগিয়ে যায়।

অফিসার : শুনে নাও। তোমরা পাহাড়ি লোকজন। শুনতে পাচ্ছ? তোমাদের ভাষা মরে গেছে। ওটা নিষিদ্ধ। এখানে পাহাড়ি ভাষায় কথা বলা একদম নিষিদ্ধ। তোমরা তোমাদের লোকের সঙ্গে তোমাদের ভাষায় কথা বলতে পারবে না। অনুমতি নেই। বুঝতে পারছ? তোমরা এটা বলতে পারবে না। এটা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তোমরা শুধু রাজধানীর ভাষায় কথা বলতে পারবে। এখানে শুধু ওই একটি ভাষাতেই কথা বলার অনুমতি আছে। এখানে পাহাড়ি ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করলে চরম শাস্তি পেতে হবে। এটা মিলিটারি ফরমান। এটাই আইন। তোমাদের ভাষা নিষিদ্ধ। ওটা মৃত। তোমাদের ভাষায় কথা বলার অনুমতি নেই কারও। তোমাদের ভাষা আর বেঁচে নেই। কোনো প্রশ্ন?

যুবতি : আমি পাহাড়ের ভাষায় কথা বলি না।

নীরবতা।

অফিসার এবং সার্জেন্ট মেয়েটির চারদিক দিয়ে ঘুরে আসে। সার্জেন্ট মেয়েটির নিতম্বে হাত রাখে।

সার্জেন্ট : কোন ভাষায় কথা বলো? তোমার এই পশ্চাৎদেশ দিয়ে কোন ভাষা বের হয়?

অফিসার : সার্জেন্ট, এসব মহিলারা এখনো কোনো অপরাধ করেনি সেটা মনে রেখো।

সার্জেন্ট : স্যার! আপনি নিশ্চয়ই বলছেন না যে, এরা নিষ্পাপ?

অফিসার : আরে না না, আমি সেটা বলছি না।

সার্জেন্ট : (যুবতির নিতম্বে হাত বুলিয়ে) এটার বড্ড তেজ। এটা দিয়ে সে তিড়িং বিড়িং করে বেড়ায়।

যুবতি সার্জেন্টের হাত থেকে দূরে সরে গিয়ে দুজনের মুখোমুখি দাঁড়ায়।

যুবতি : আমার নাম সারা জনসন। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এটা আমার অধিকার। সে কোথায়?

অফিসার : তোমার কাগজপত্র দেখাও।

যুবতি তার হাতে একটা কাগজ দেয়। সে পরীক্ষা করে দেখে সার্জেন্টের দিকে তাকায়।

অফিসার : সে পাহাড়ি নয়। ভুল দলে চলে এসেছে।

সার্জেন্ট : (যুবতিকে দেখিয়ে) সেও তাই। আমার ওকে দেখতে ধান্দাবাজ বুদ্ধিজীবী মনে হচ্ছে।

অফিসার : কিন্তু তুমি বলছিলে ওর নিতম্ব নাকি দুলছিল। 

সার্জেন্ট : বুদ্ধিজীবীদের পাছা সবচাইতে ভালো দোলে।

আলো নিভে যায়।

দৃশ্য ২-দর্শনার্থীদের কামরা

একজন কয়েদি বসে আছে। বৃদ্ধা তার বাস্কেট নিয়ে বসে আছেন। তার  পেছনে প্রহরী দাঁড়িয়ে। কয়েদি এবং বৃদ্ধার কথায় গ্রামীণ বাচনভঙ্গি স্পষ্ট।

নীরবতা

বৃদ্ধা : আমার কাছে রুটি আছে

প্রহরী তার হাতের লাঠি দিয়ে বৃদ্ধাকে খোঁচা দেয়।

প্রহরী : নিষিদ্ধ। ঐ ভাষা নিষিদ্ধ।

বৃদ্ধা তার দিকে তাকায়। সে আবার খোঁচা দেয় বৃদ্ধাকে।

প্রহরী : ওটা নিষিদ্ধ। (কয়েদিকে) উনাকে রাজধানীর ভাষায় কথা বলতে বল।

কয়েদি : উনি বলতে পারেন না।

নীরবতা

কয়েদি : উনি ওই ভাষায় কথা বলতে পারেন না।

বৃদ্ধা : আমার কাছে আপেল আছে

প্রহরী খোঁচা দিয়ে চিৎকার করে ওঠে।

প্রহরী : নিষিদ্ধ! নিষিদ্ধ, নিষিদ্ধ, নিষিদ্ধ! কী আশ্চর্য! (কয়েদিকে) আমি কী বলছি সে বুঝতে পারছে?

কয়েদী : না

প্রহরী : বুঝতে পারছে না?

প্রহরী বৃদ্ধার উপর ঝুঁকে দেখে

প্রহরী : তুই বুঝতে পারিস না?

বৃদ্ধা প্রহরীর দিকে মুখ তুলে তাকায়।

কয়েদী : উনি একজন বৃদ্ধা। উনি বুঝতে পারেন না।

প্রহরী : সেটা কার দোষ?

প্রহরী হাসে।

প্রহরী : আমার না, সেটা বলতে পারি। এবং আরেকটা কথা বলব তোকে। আমার একজন স্ত্রী এবং তিনটি বাচ্চা আছে। আর তোরা হচ্ছিস একগাদা আবর্জনার স্তূপ।

নীরবতা

কয়েদি : আমার স্ত্রী এবং তিনটি বাচ্চা আছে।

প্রহরী : কী আছে তোর?

নীরবতা

প্রহরী : তোর কী আছে?

নীরবতা

প্রহরী : তুই কী বললি আমাকে? তোর কী আছে?

নীরবতা

প্রহরী : তোর কী আছে?

প্রহরী ফোন তুলে একটি ডিজিট ডায়াল করে।

প্রহরী : সার্জেন্ট? আমি নীল কামরায় .... হ্যাঁ ... আমার মনে হলো এটা রিপোর্ট করা দরকার, সার্জেন্ট ... আমার মনে হয় আমার এখানে একটা ভাঁড় আছে।

আলো কমে আসে। চরিত্ররা স্থির হয়ে যায়।

নেপথ্য কণ্ঠ :

বৃদ্ধার কণ্ঠ : বাচ্চাটা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।

কয়েদির কণ্ঠ : তোমার হাত কামড়ে দিয়েছে।

বৃদ্ধার কণ্ঠ : সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।

কয়েদির কণ্ঠ : ওরা আমার মায়ের হাত কামড়ে দিয়েছে।

বৃদ্ধার কণ্ঠ : তুমি যখন বাড়ি আসবে তখন অনেক আয়োজন করে তোমাকে বরণ করা হবে। সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। ওরা সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। সবাই তোমাকে দেখার জন্য অপেক্ষা করছে।

পুরো আলো জ¦লে ওঠে। সার্জেন্ট প্রবেশ করে।

সার্জেন্ট : কোথায়, ভাঁড় কোনটা?

আলো নিভে যায়। 

দৃশ্য ৩-আঁধারের কণ্ঠস্বর

নেপথ্য কণ্ঠ

সার্জেন্টের কণ্ঠ: ঐ মাতারিটা কে? ওইটা কী মারাইতে আসছে এখানে? ওই নষ্টা মহিলাটারে দরজা দিয়ে ঢুকতে দিয়েছে কে?

প্রহরীর কণ্ঠ: ওটা ওর স্ত্রী।

আলো জ¦লে ওঠে। একটা করিডোর। মাথায় হুডপরা একজন লোককে ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে প্রহরী এবং সার্জেন্ট। যুবতি একটু দূর থেকে তাকিয়ে দেখছে।

সার্জেন্ট : এসব কী? রাজকুমারীর অভ্যর্থনা হচ্ছে? ব্লাডি শরবত কোথায়? রাজকুমারীর জন্য শরবত নিয়ে কে আসছে?

সার্জেন্ট যুবতির কাছে যায়।

সার্জেন্ট : হ্যালো মিস, আমি দুঃখিত। আমি আশঙ্কা করছি ছোটখাটো প্রশাসনিক গলদ হয়েছে কোথাও। ওরা তোমাকে ভুল দরজা দিয়ে ঢুকিয়েছে। অবিশ্বাস্য! এটার মাশুল কাউকে দিতে হবে। যাই হোক, সিনেমায় যেমন বলে এই মুহূর্তে তোমার জন্য কী করতে পারি আমি রাজকুমারী?

আলো কমে আসে। চরিত্ররা সব স্থির হয়ে যায়।

নেপথ্য কণ্ঠ :

হুডপরা লোকটির কণ্ঠ : তুমি ঘুমাও, আমি তোমাকে দেখি। তুমি চোখ মেলছ। তাকিয়েই তুমি আমাকে দেখছ তোমার ওপরে। হাসছ তুমি।

যুবতির কণ্ঠ : তুমি হাসছ। আমি চোখ মেলে তাকিয়েই তোমাকে দেখছি আমার ওপর। হাসছ তুমি।

হুডপরা লোকটির কণ্ঠ : আমরা লেকের ধারে বেড়াতে গেছি।

যুবতির কণ্ঠ : এখন বসন্ত।

হুডপরা লোকটির কণ্ঠ : আমি তোমাকে স্পর্শ করছি। আদর করছি!

যুবতির কণ্ঠ : আমি চোখ মেলে তাকিয়ে তোমাকে দেখছি আমার ওপর। তুমি হাসছ, আমি হাসছি!

আলো জ¦লে ওঠে। হুডপরা লোকটি মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। যুবতি চিৎকার করে ওঠে।

যুবতি : চার্লি!

সার্জেন্ট আঙুল দিয়ে ইশারা করে। প্রহরী লোকটিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।

সার্জেন্ট : হ্যাঁ, তুমি ভুল দরজায় চলে এসেছ। এটা কম্পিউটারের ভুল হবে। কিন্তু আমি তোমাকে বলছি, তুমি যদি এখানকার জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে চাও তাহলে আমাদের এক আদমি আছে, যে বৃষ্টি না হলে সব মঙ্গলবার আসে এই অফিসে। সে তার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে বিস্তর জ্ঞান রাখে। তুমি এর মধ্যে একদিন ওকে টোকা দিয়ে দেখতে পার। সে তোমাকে সময় দেবে। ওর নাম ডোকস। জোসেফ ডোকস।

যুবতি : আমি ওর সঙ্গে শুতে পারব? আমি ওর সঙ্গে শুলে কি সব ঠিক হয়ে যাবে?

সার্জেন্ট : নিশ্চয়ই। কোনো সমস্যা নেই।

যুবতি : ধন্যবাদ।

আলো নিভে যায়।

দৃশ্য ৪-দর্শনার্থীদের কামরা

প্রহরী, বৃদ্ধা, কয়েদি 

নীরবতা

কয়েদির মুখমণ্ডলে রক্ত লেগে আছে। সে চেয়ারে বসে কাঁপছে। স্থির হয়ে আছে বৃদ্ধা। প্রহরী জানালা দিয়ে বাইরে দেখছে। সে ঘুরে দুজনের দিকে তাকায়।

প্রহরী : ওহ, আমি তোমাদের বলতে ভুলে গেছি। তারা নিয়ম পরিবর্তন করেছে। উনি কথা বলতে পারবেন। উনি উনার নিজের ভাষায় কথা বলতে পারবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত।

কয়েদি : কথা বলতে পারবেন?

প্রহরী : হ্যাঁ, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত। নতুন নিয়ম। 

বিরতি

কয়েদি : মা, তুমি কথা বলতে পারবে।

বিরতি

কয়েদি : মা, আমি তোমার সঙ্গে কথা বলছি। দেখতে পাচ্ছ? আমরা কথা বলতে পারি। তুমি আমার সঙ্গে আমাদের ভাষায় কথা বলতে পারবে।

বৃদ্ধা একেবারে স্থির হয়ে আছে

কয়েদি : তুমি কথা বলতে পার।

বিরতি

কয়েদি : মা, তুমি আমাকে শুনতে পাচ্ছ? আমি তোমার সঙ্গে আমাদের নিজের ভাষায় কথা বলছি।

বিরতি

কয়েদি : তুমি আমাকে শুনতে পাচ্ছ?

বিরতি

কয়েদি : এটা আমাদের ভাষা।

বিরতি

কয়েদি : তুমি আমাকে শুনতে পাচ্ছ না? শুনতে পাও?

বৃদ্ধা সাড়া দেয় না

কয়েদি : মা?

প্রহরী : তাকে বল যে সে তার নিজের ভাষায় কথা বলতে পারবে। নতুন নিয়ম। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত।

কয়েদি : মা?

বৃদ্ধা সাড়া দেয় না। স্থির হয়ে বসে থাকে।

কয়েদির শরীরে কম্পন বাড়তে থাকে। একসময় চেয়ার থেকে পড়ে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ে। খুব হাঁপাতে থাকে। তার শরীরে তীব্র খিঁচুনি হতে থাকে। তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চায়। সার্জেন্ট প্রবেশ করে এবং মেঝেতে কয়েদির খিঁচুনি পর্যবেক্ষণ করে।

সার্জেন্ট : দ্যাখো কাণ্ড! সীমার বাইরে গিয়ে এদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও এরা গুবলেট পাকাবেই।

আলো নিভে যায়।

সমাপ্ত

Mountain Language  একাঙ্ক নাটকটি হ্যারল্ড পিন্টারের নির্দেশনায় ১৯৮৮ সালের ২০ অক্টোবর লন্ডনের ন্যাশনাল থিয়েটারে প্রথম মঞ্চস্থ হয়। নাট্যকার ও অনুবাদক কিছু অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেছেন যা সম্পাদনা করা হয়েছে।।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত