শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

স্পন্সরের খোঁজে হকি ফেডারেশন

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম

সিঙ্গাপুরে শেষ হওয়া এএইচএফ কাপ জুনিয়র হকিতে পুরুষ ও নারী দল পাঠাতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের। সামনে তাদের আরও অর্থের প্রয়োজন। আসন্ন এশিয়া কাপ জুনিয়র হকি ও জাতীয় দলকে ইউরোপে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণে পাঠাতে প্রয়োজন প্রচুর অর্থ। তাই এবার ফেডারেশন কর্তারা মাঠে নেমেছেন পৃষ্ঠপোষক খুঁজতে। 

এএইচএফ কাপ জুনিয়র হকিতে ছেলেরা টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন ও মেয়েরা রানার্সআপ হয়েছে। যেখানে খরচা হয়েছে কোটি টাকার ওপরে। এই সাফল্যের পর এশিয়া কাপ জুনিয়র হকিতে দুদলকে পাঠাতে চায় হকি ফেডারেশন। সেখানে এরচেয়েও বেশি ব্যয় হবে। এশিয়ান হকি ফেডারেশন বাংলাদেশকে সেই আসরের আয়োজক স্বত্ব দিতে চাচ্ছে। সেটা নিতে গেলেও প্রয়োজন হবে স্পন্সর। 

এদিকে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ইউরোপে নিয়ে যেতে চান জার্মান কোচ পিটার গেরহার্ড। ১৬ আগস্ট শিষ্যদের নিয়ে ইউরোপে খেলতে যেতে চান তিনি। জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের খেলার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি চলবে জাতীয় দলের প্রস্তুতি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের টাকা চাই ফেডারেশনের।  

এ কারণেই দেশের একটি বৃহত্তর করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে স্পন্সর চেয়েছে ফেডারেশন। সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক সাঈদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ বাবদ বছরে যা দেয় তা দিয়ে কোনোভাবেই খেলাটাকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। দেশের তৃতীয় জনপ্রিয় এবং সম্ভাবনার দিক থেকে দ্বিতীয় খেলা হকি। অথচ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রশিক্ষণ বাবদ হকিকে দিয়েছে মাত্র ১১ লাখ টাকা। অথচ ব্রিজ, রোলার স্কেটিংয়ের মতো খেলাকে দেওয়া হয়েছে অনেক বেশি বরাদ্দ। এ অবস্থায় খেলাটা চালিয়ে নেওয়া ভীষণ কঠিন হয়ে পড়েছে আমার একার পক্ষে। তাই বসুন্ধরা গ্রুপকে চিঠি দিয়েছি স্পন্সর করার জন্য। মূলত জাতীয় দলকে ইউরোপ পাঠানোর জন্য তাদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।’

এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ফিল্ড হকি ছাড়াও ফাইভ-এ-সাইড ও ইনডোর হকিতেও জোর দিয়েছে। ফলে স্থায়ী স্পন্সরের বিকল্প নেই ফেডারেশনের। পাশাপাশি ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসানের কাছে হকি উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের আবেদন করেছে হকি ফেডারেশন। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত