দেশের চলমান অস্থিরতায় সরকার দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে। স্বাভাবিকভাবেই সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সারা দেশের মতো যাত্রীশূন্য বগুড়ার সান্তাহার জংশন স্টেশন। তবে যাত্রী না থাকলেও এ স্টেশনের দুটি প্ল্যাটর্ফমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরেই চলেছে বৈদ্যুতিক ফ্যান। অবহেলার কারণে অপচয় হচ্ছে বিদ্যুৎ।
জানা যায়, গত ১৯ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সব যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রাখে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যার কারণে গত ১২ দিন থেকে যাত্রীশূন্য সান্তাহার জংশন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলো। তবে থেমে নেই যাত্রীদের আরাম দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ফ্যানগুলো। অনবরত ঘুরছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এমনকি দিনের পর দিন। যদিও সরকারিভাবে নির্দেশনা আছে বিদ্যুৎ অপচয় করা যাবে না। কিন্তু সান্তাহার স্টেশনে দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের কোনো মাথা ব্যথা নেই এ ব্যাপারে।
সরজমিনে গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দেখা যায় স্টেশন কোনো যাত্রী নেই। তবে দেদার ঘুরছে স্টেশনের ৩ ও ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের প্রায় ৩০টি ফ্যান। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পরও দায়িত্বরত কাউকে দেখা যায়নি। স্থানীয়রা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ট্রেন বন্ধের পর থেকেই ঘুরে এসব ফ্যান।
প্ল্যাটফর্মে হাঁটতে আসা নাইম নামের এক যুবক বলেন, আমি প্রতিদিন সন্ধার পর হাঁটার জন্য প্ল্যাটফর্মে আসি। বেশ কিছু দিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রায়ই দেখি ফ্যান ঘুরছে।
যাত্রীছাড়া স্টেশনে অনবরত ফ্যান চলার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহিনুর রহমান নামের রেলওয়ে কর্মরত একজন অবাক হয়ে বলেন, পুরো স্টেশনের বিদ্যুৎ সুইচ স্টেশন মাস্টারের অফিসে দেওয়া আছে। তাদেরই দেখভালের দায়িত্ব। হয়তো কেউ সুইচ দিয়ে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে সান্তাহার স্টেশন মাস্টার খাদিজা খাতুন বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ডিউটি করে দেখে রাতে কিছু ফ্যান দেওয়া আছে। তবে সব ফ্যান চলে নাকি এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেব।