মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

শীতে শিশুর হাঁপানি হলে করণীয়

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় শিশুদের হাঁপানির (অ্যাজমা) প্রকোপ অনেকটা বেড়ে যায়। এ সময় হাসপাতালগুলোয় এমন শিশুর সংখ্যা বাড়ে। শিশুদের হাঁপানি হলে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। শিশুদের শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানির সমস্যা শীতের ঠান্ডা ও ধুলোবালির কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে। অ্যাজমা বা হাঁপানি হলো ইমিউনজনিত শ্বাসনালীর এক ধরণের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া। 

বংশানুক্রমিকভাবে এই রোগে আক্রান্ত শিশু, যাদের শ্বাসনালী খুবই সেনসিটিভ, বিভিন্ন উত্তেজক বস্তু বা অ্যান্টিজেনের সংস্পর্শে এসে উত্তেজিত হয়ে ফুলে উঠে। হাঁপানি থেকে বাঁচতে প্রথমেই যেসব অ্যালার্জেন বা উদ্দীপক শ্বাসতন্ত্রের অতিসংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়, তা থেকে দূরে রাখতে হবে। অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়গুলো নিম্নে দেওয়া হলো -

ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা
শীতকোলে শিশুদের গরম কাপড় পরিয়ে রাখুন। নাক-মুখ ঢেকে রাখার জন্য মাফলার বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। খুব ঠান্ডা বা ধূলাযুক্ত জায়গায় শিশুদের নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ইনহেলার বা নেবুলাইজার ব্যবহার
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুর জন্য নির্ধারিত ইনহেলার বা নেবুলাইজার ব্যবহার করুন। যদি হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট হয়, তবে রিলিভার ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে।

ধুলোবালি ও অ্যালার্জেন এড়ানো
ঘর ধুলোমুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন। ধুলো জমে এমন জিনিস (কার্পেট, ভারী পর্দা) এড়িয়ে চলুন। ধূমপানের ধোঁয়া এবং ধোঁয়াশা থেকে শিশুদের দূরে রাখুন।

পুষ্টিকর খাবার
শিশুকে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার দিন। গরম পানীয় যেমন আদা চা বা গরম স্যুপ দিতে পারেন।

পর্যাপ্ত হাইড্রেশন ও বিশ্রাম
শিশুদের গরম পানি পান করান। শরীরে পানির অভাব যেন না হয়, সেদিকে নজর দিন। শিশুদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে দিন। শারীরিক ও মানসিক চাপ কমিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।

ডাক্তারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ
হাঁপানির তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শীতের আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রতিরোধমূলক ওষুধ বা ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করুন।

ব্যায়াম ও শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ
ঠান্ডা আবহাওয়া এড়িয়ে ঘরের ভেতর হালকা ব্যায়াম করাতে পারেন। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (যেমন বেলুন ফুলানো) শ্বাসতন্ত্রকে মজবুত করতে সাহায্য করে।

সতর্কতা ও সঠিক যত্ন শিশুর হাঁপানির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। শ্বাসকষ্ট তীব্র হলে দেরি না করে দ্রুত  চিকিৎসকের কাছে যান।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত