বই
সারওয়ার-উল-ইসলাম
বইয়ের চাইতে নেই বন্ধু আপন
বইকে নিয়ে আমার জীবনযাপন।
বইয়ের কালো অক্ষরে পাই
ইতিহাসের কথা,
সংগ্রাম আর লড়াই করে
পাওয়া স্বাধীনতা।
মেলায় গিয়ে খুঁজে খুঁজে
যেই বইটা ভালো,
কিনবো কারণ জ্ঞান বাড়াবে
আজ আগামীকালও।
মুক্ত স্বাধীন জীবন দেবে
যেই কালো অক্ষর,
মেলায় গিয়ে কিনবো সে বই
ভরবো আমার ঘর।
বইয়ের চাইতে নেই বন্ধু আপন
বইকে নিয়ে আমার জীবনযাপন।
পিঁপড়ের বনভোজন
নকুল শর্ম্মা
পিঁপড়ে সবাই দলে দলে
করছে আয়োজন,
পাহাড় ঘেঁষে নদীর কূলে
করবে বনভোজন।
ব্যস্ত সবাই যে যার কাজে
নেই তো অবসর,
খুশির তোড়ে চলছে ছুটে
ছেড়ে নিজের ঘর।
কেউ বা বসে বাটনা বাটে
কেউ বা রাধে ভাত,
কেউ বা বলে হায় রে কপাল
যাচ্ছে পুড়ে হাত।
কষ্ট করেছে সবাই, তবু
এটাই তাদের সুখ
ভোজন শেষে ফিরছে ঘরে
হাসি ভরা মুখ।
শীতের দিনে
গোলাম সরোয়ার
ভালো লাগে শীত সকালে
খেজুর রসের পিঠা,
ভালো লাগে লেপের গরম
খৈ, মোয়া-মিঠা।
দুষ্টু ছেলে শীতের ভয়ে
দেয় না জলে ডুব,
রোদ সকালে বৃদ্ধা-বালক
মজা করে খুব।
ভাপা পিঠা খেতে সবার
ভীষণ লাগে ভালো,
নকশী কাঁথার রঙবেরঙে
সাজাই মনে আলো।
হিমেল বাতাস বয় বিকেলে
শীত দাপটে কাবু,
গরম কাপড় দেয় গায়ে
যুবক, বৃদ্ধ-বাবু।
গুচ্ছ ছড়া
অজিতা মিত্র
ক
নদীর ওপার নতুন গাঁও,
চলছি বেয়ে তালের নাও,
ঝিকিমিকি নদীর বাঁক...
করছে খেলা বকের ঝাঁক!
খ
ঘাসের ওপর শিউলি ফুল,
রুমকি বানায় মায়ের দুল,
চুমকি বসে গাঁথছে মালা,
মায়ের মাথার লম্বা চুল!
গ
বইয়ের পাতায় জাংলাপুঁই,
উড়ছে ফড়িং, একটু ছুঁই;
পুঁইয়ের পাশে মাঝপুকুরে
নাচছে বোয়াল, চিতল, রুই!
ঘ
পুবের সূর্য দিচ্ছে উঁকি,
আকাশ জুড়ে আঁকিবুঁকি...
রঙের খেলা দেখবে বলে
পাপড়ি মেলে সূর্যমুখী!
ঙ
বইমেলাতে শুক্রবার
হাত ধরে যাই বাবা-মা’র,
বই কিনেছি দু’হাত ভরে
গল্প, ছড়া, কবিতার।